ফেরদৌসী রহমানের জন্মদিন আজ
পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে। কিন্তু সেই পরিচয়ের বাইরে এসে প্রায় পাঁচ দশক ধরে সংগীত জগতে পদচারণা। পল্লীগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত, ইসলামিক গান-গজল, আধুনিক ও চলচ্চিত্রসহ সব ধরনের গানেই যার রয়েছে সমান দক্ষতা। তার কণ্ঠে অসংখ্য কালজয়ী গান পেয়েছে উপমহাদেশের সংগীতপ্রেমীরা। বলছি দেশের প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের কথা। আজ তার ৭৯ তম জন্মদিন।
বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাসাতেই সময় কাটে তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াত এলেও যেতে পারেন না। তবে জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে যান না স্বজন ও সংগীতের মানুষেরা। জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা উইশ করে। এছাড়া কাছের আত্মীয়স্বজন ও গানের মানুষেরা খোঁজ নেন। অনেকের সঙ্গে কথা হয়। এজন্য ভালো লাগে। সবার কাছে দোয়া চাই।
ফেরদৌসী রহমানের এবারের জন্মদিন নিয়ে কোনো বাড়তি আয়োজন নেই। নেই বিশেষভাবে দিনটি উদযাপনেরও আগ্রহ নেই তার। কারণ দুই ছেলে রুবাইয়াত ও রাজিন আছেন দেশের বাইরে। এছাড়া করোনার কারণে ফেরদৌসী রহমান কিছু প্রিয় মানুষ হারিয়েছেন। তাদের জন্য মন ভীষণ খারাপ তার।
ফেরদৌসী রহমান বলেন, আমরা যারা বলা যায় একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম তাদের অনেকেই আজ নেই। সে কারণে মন খারাপই থাকে। আবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি সেইসব প্রিয়মুখও চলে গেলেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতে আমি চাই আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আবার যেন সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে গল্প করতে পারি, সবার মুখে যেন হাসি দেখতে পারি। অন্যের হাসির মাঝেই নিজের সুখ না হয় খুঁজে নিব।
১৯৪১ সালে ২৮ জুন কুচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী রহমান। বাবাই তার প্রথম সংগীতগুরু। পরবর্তীতে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান, নাজাকাত আলী খান ও সলামাত আলী খান প্রমুখ নামজাদা ওস্তাদদের কাছ থেকে গানের তালিম নেন তিনি। জীবনের প্রথম রেডিওর 'খেলাঘর' অনুষ্ঠানে গান করেন ১৯৪৮ সালে। 'আসিয়া' সিনেমাতে তারই বাবা পল্লী সম্রাট আব্বাসউদ্দিনের সুরে আব্দুল করিমের লেখা 'ও মোর কালারে' গানে কণ্ঠ দেন।