সাম্প্রতিক বাজারে মোবাইল ফোনের ওপর ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবের পরপরই গত ১১ জুন রাত থেকে মোবাইল সেবার বিপরীতে গ্রাহকদের বাড়তি অর্থ কাটা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা হওয়ায় মোবাইল ফোনের ওপর খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আগে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের সেবার জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জের ছাড়াও সম্পূরক শুল্প ছিল ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে একজন মোবাইল ব্যবহারকারী ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স পেত ২২ টাকা ৭২ পয়সা। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট-সারচার্জ হার অপরিবর্তিত রেখে বাড়ানো হয় সম্পূরক শুল্ক। নতুন করে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় বর্তমানে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ নিয়ে নেয় ২৫ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে সাধারণ মানুষ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। বিভিন্ন মহল থেকেও এর প্রতিবাদ করা হয়েছিল এবং মোবাইল ফোনে খরচ না বাড়ানোর দাবি করা হয়েছিল। পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছিলেন, বর্তমানে মোবাইল কলরেটের হার এত কম যে, অপ্রয়োজনীয় কথা বলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে কথা বলতে বলতে ট্রেনের সঙ্গে এক্সিডেন্ট করার ঘটনাও আছে। তবে আমরা কথা বেশি বলাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ শুল্ক বাড়াইনি। বরং কলরেট খুব কম। তাই এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র গত শুক্রবার (২৬ জুন) এক খবরে জানিয়েছে, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি থেকে সরে আসতে যাচ্ছে সরকার। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানেই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। অর্থবিল পাসের দিন এটি সংশোধন করা হতে পারে। এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ কর্পোরেট অফিসার শাহেদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস অ্যাক্টের অধীনে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নের বিধান রয়েছে। এজন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.