এবার আরও জমবে ভার্চ্যুয়াল পশুর হাট

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০, ১৭:১৫

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আইলচড়া ইউনিয়নের বাগডাঙা গ্রাম। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে তিন শতাধিক গরু নিয়ে খামারিরা রাজধানী ঢাকায় পাড়ি দেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে খামারিরা ঢাকার পশুর হাটে গিয়ে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। গ্রাম থেকে গরু বিক্রির চেষ্টায় আছেন বাগডাঙার খামারি মো. ফারুক। খামারিরা এলাকার বাইরে না গেলে কোরবানির হাটে পশুর সরবরাহ কম থাকতে পারে। তাই এবার কোরবানির ঈদে ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেরই ভরসাস্থল হতে যাচ্ছে ভার্চ্যুয়াল পশুর হাট।

ভার্চ্যুয়াল পশুর হাট একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতারা একসঙ্গে মিলিত হবেন। বিক্রেতা গরু, ছাগল বা কোরবানি উপযুক্ত পশুর স্থিরচিত্র বা ভিডিও দেখাবেন। গরুর দাম, বয়স, ওজন, কয়টা দাঁত রয়েছে, কোথা থেকে আনা হয়েছে, এমন সব তথ্য থাকবে। কোরবানির হাটের গিয়ে ক্রেতা যেভাবে গরু যাচাই-বাছাই করে থাকেন, ঠিক সেভাবেই দেখা যাবে। পছন্দ হলে ক্রেতা গরু কিনে নিতে পারবেন। দাম ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে পরিশোধ করা যাবে। ক্রেতা যেখানে চাইবেন, সেখানেই গরু পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ভার্চ্যুয়াল হাটের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশুর হাটের কার্যক্রম শুরু করেছে খামার-ই লিমিটেড নামে একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে সদ্য পাস করা চারজন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আবিয়াদ, শাহরুখ হোসাইন, হামিদ হাসান ও দীপ্ত সাহা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। দীপ্ত সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৯ সালে লাইভ স্টকে (গবাদিপশু) প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে খামারিদের জীবন–জীবিকাকে সহজ করতে এই কোম্পানির যাত্রা শুরু করি। ২০২০ সালে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে টেলিকম কোম্পানি রবি, আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি এবং টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান এসবিকে টেক ভেঞ্চার। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের আওতাধীন স্টার্ট আপ বাংলাদেশ এই উদ্যোগে সহায়তা করে।

দীপ্ত সাহা বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় আমরা চারজন খামার গড়ে সুযোগ খুঁজতে থাকি যে কীভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে খামারিদের সমস্যা সমাধান করা যায়। এই লক্ষ্যে এবার করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অনলাইন হাট নিয়ে এসেছি। যার মাধ্যমে সরাসরি খামারি ও ক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হবে। দালালমুক্ত পরিবেশে খামারি গরুর ন্যায্য দাম পাবেন। ভোক্তাও খামারির কাছ থেকে দেখেশুনে ভালো ও পছন্দের কোরবানির গরুসহ অন্যান্য পশু বেচা-কেনা করতে পারেন। এরই মধ্যে ১৫০টি গরু এই হাটে চলে এসেছে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও