স্কাইপ-হোয়াটসঅ্যাপ এর হাওয়াই চলছে বিএনপি
সরকারের সমালোচনা ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, স্কাইপ ও হোয়াটসঅ্যাপ-ই একমাত্র ভরসা হয়ে পড়েছে বিএনপির। সম্প্রতি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। তারা বলেন, মাঠের রাজনীতি থেকে সরে আসার পর থেকেই স্কাইপ আর হোয়াটসঅ্যাপে চলছে বিএনপির সব কার্যক্রম।
নয়াপল্টন ও গুলশান কার্যালয়ের ভিতরে স্কাইপে মিটিংয়ের জন্য লাগানো হয়েছে বড় পর্দা। হল রুমে নেতা-কর্মীরা বসে স্কাইপের মাধ্যমে সরাসরি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। অপরদিকে, লন্ডন থেকে নেতাকর্মীদের সরাসরি নির্দেশনাও দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, আগে আমাদের বৈঠকের জন্য গুলশান কার্যালয়ে যেতে হতো। সেখানে গিয়ে স্কাইপি’র মাধ্যমে সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করতাম। কিন্তু এখন করোনার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। যে যার বাসায় থেকেই ভার্চুয়ালভাবেই বৈঠকে অংশ নিচ্ছি।
স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ এর সঙ্গে এখন নতুন যুক্ত হয়েছে জুম অ্যাপ। তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ বা সরকারের সমালোচনা করতে আর মাঠে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই এসব অ্যাপের মাধ্যমে আমরা তা সঠিকভাবে করতে সক্ষম হচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সিনিয়র নেতা বলেন, রাজনীতির মাঠে সভা-সমাবেশ করতে গেলে অনেক হামলা-মামলার শিকার হতে হয়। নানারকম পুলিশি জটিলতায় পড়তে হয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ, সভা-সমাবেশ বা আলোচনা-সমালোচনা করলে তো আর সেই সমস্যার মুখোমখি করতে হয় না। এতে করে একদিকে যেমন আমরা সময়টাকে অন্যরকমভাবে কাজে লাগাতে পারছি, অন্যদিকে সভা-সমাবেশ করতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহানগর বিএনপি এবং কেন্দ্রের সব নেতাই এখন হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্কাইপ ব্যবহার করেন। সবাই সবার সঙ্গেই এসব অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। তবে এ বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছে একাধিক বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা।