স্কার্ট পরে স্কুলে আসে ছাত্রীরা। কারণ ওটাই স্কুলের ইউনিফর্ম। কিন্তু ডেস্কে বসে ক্লাস করার সময় সেই স্কার্ট উঠে গেলে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে লুকিয়ে ভিডিও করতেন শিক্ষক। দু'একটা নয়, তিন বছর ধরে ১৬০টি এমন অশ্লীল ভিডিও করেছেন ওই শিক্ষক। সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলের এই ঘটনা সামনে এনেছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত অন্তত ১৬০টি এমন ভিডিও করেছেন ওই শিক্ষক। গত ২৩ জুন সিঙ্গাপুরের আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী জুলাই মাসে সাজা ঘোষণা হবে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারীদের অজান্তে তাদের জনসমক্ষে অসম্মান করা এবং অশ্লীল ভিডিও বানানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে, সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্রীদের নাম এবং স্কুলের নাম গোপন রাখা হয়েছে বলে নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে স্কুলের মোট ১৫টি অনুষ্ঠানে আট জন ছাত্রীর ভিডিও তোলে। ২০১৬ সালের প্রথম পর্বে আরো আট ছাত্রীর ভিডিও মোবাইলবন্দি করে ওই শিক্ষক। ২০১৭ সালে সংখ্যাটা আরো বেড়ে যায়। ৩২ জন ছাত্রীর ১০৫টি ভিডিও তোলেন ওই শিক্ষক। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ৩৬টি অনুষ্ঠানে ৩৯টি ভিডিও তোলা হয়।
পুলিশ বলেছে, কোনো ভিডিওই দীর্ঘ নয়। সবকটিই খুব বেশি হলে ১০-১৫ সেকেন্ডের। সেগুলি জুড়েই অশ্লীল ছবি বানাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গিয়েছে তার এক আত্মীয়েরও ভিডিও তুলেছিল সে। একটি শপিংমলে একজন অচেনা মহিলার ভিডিও মিলেছে তার ফোনে।
সিঙ্গাপুরের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত নয়। শিক্ষকতার একটি তিন বছরের কোর্সের জন্য ওই স্কুলে যুক্ত হয়েছিল সে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.