রোগী বাঁচাতে না পারার অনুশোচনাটা রয়ে গেল, বললেন হাতিয়ার সেই আলোচিত চিকিৎসক
করোনাকালে মানবসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান। গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) তোলা তার একটি ছবি হয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলাদেশে করোনা দুর্যোগের প্রতিচ্ছবি। রোগীকে বাঁচাতে না পেরে রোগীর পাশে হাত-পা ছড়িয়ে অসহায় হয়ে বসেছিলেন তিনি। সে ছবি এখনো অনেকে ফেসবুকে শেয়ার করে করোনাযুদ্ধে চিকিৎসক মিজানসহ সব চিকিৎসকদের প্রশংসা করছেন।
করোনাযোদ্ধা ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান জানান, প্রাণপণ চেষ্টা করেও পঞ্চাশোর্ধ্ব পবন দাসকে বাঁচাতে পারিনি। কারণ আমাদের হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সুবিধা নেই। ভেন্টিলেটর থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত। তিনি বাঁচলে নিজেও স্বস্তি পেতাম। তিনি যদি একটু আগে আসতেন, যদি আমরা আরও একটু বেশি চেষ্টা করতাম হয়তো তাকে বাঁচানো যেত। তাকে বাঁচাতে না পারার অনুশোচনাটা রয়ে গেল।
ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। তিনি ৩৯তম বিএসএসে সরকারি চাকরি পান। জন্মস্থান নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া হলেও ঢাকায়ই লেখাপড়া করেছেন। ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, ভেন্টিলেটর থাকলে পবন দাস হয়তো বেঁচে যেতেন। পবন দাসের করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও তার রিপোর্ট আসেনি।