কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


হজের কোনো ‘প্রতীকী’ আয়োজন নেই, এটা ফরজ ইবাদত

কেবলমাত্র সৌদি আরবে বসবাসকারীদের হজের অনুমতি দেওয়া হলেও তা হবে ‘অত্যন্ত সীমিত’ পরিসরে। আধুনিক সৌদি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি হজযাত্রীরা হজপালনে যেতে পারলেন না। সৌদি আরবের সিদ্ধান্তে বিশ্বের নানাপ্রান্তের মুসলমানরা হতাশা প্রকাশ করলেও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই কঠিন সময়ে এমন সিদ্ধান্তকে প্রয়োজনীয় বলে মেনে নিয়েছেন। সক্ষম ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় কমপক্ষে একবারে হজপালন করতে হয়। প্রতিবছর প্রায় ২০-২২ লাখ হজযাত্রী হজপালন করেন। তাদের নানাবিধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়ভাবে আর কয়েক লাখ স্বেচ্ছাসেবক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে প্রচুর লোক নিয়োজিত থাকেন। এমতাবস্থায় হজ উন্মুক্ত রাখলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি বড় উৎসে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার নিমিত্তে হজ সীমিত করা হয়েছে। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ সৌদিতে অবস্থানরতদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, তবে তারা কোনো সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট করেনি। আয়োজন বড় হলেও তা দশ হাজারের বেশি যাবে না। সর্বনিম্ন এক হাজারও হতে পারে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের বাইরের দেশ থেকে হজ করতে যাবার সুযোগ বাতিল করে শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দা এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিদের হজের সুযোগ দেওয়াকে অনেকে ‘প্রতীকী হজ’ বলে অভিহিত করছেন। কেউ বলছেন আন্তর্জাতিকভাবে হজপালনকে স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজকে প্রতীকী বলা কিংবা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানে ভাগ করা কতটুকু যৌক্তিক? এক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ত কী বলে? ইসলাম কোনো অলৌকিক ধর্ম নয়, ইসলাম বাস্তবসম্মত ধর্ম। ইসলামের সব বিধান দেওয়া হয়েছে মানুষের সামর্থ, যোগ্যতা চিন্তার কথা ভেবে। প্রত্যেকটি বিধানের ক্ষেত্রে বিকল্প বলে দেওয়া হয়েছে। কষ্টসাধ্য কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয় না। ইসলাম সব বিষয়ে মানুষকে হুঁশিয়ার থাকতে বলে, প্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে। আসন্ন হজে সীমিত মানুষের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত তেমনই একটি সিদ্ধান্ত। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সামর্থ্য থাকলে এবং শরীর সুস্থ থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজ অবশ্য পালনীয়। বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। হজ ফরজ হওয়ার শর্তের অন্যতম হলো- যাতায়াতের পথ নিরাপদ হওয়া, রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা না থাকা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের যোগাযোগ বন্ধ। তা ছাড়া করোনা সংক্রমনের কারণে প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে মহামারির সময় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় না যেতে হাদিসে নির্দেশ রয়েছে। এমতাবস্থায় যারা হজে যাওয়ার অনুমতি পাননি ধরে নেওয়া হবে, তাদের ওপর হজ ফরজ হওয়ার হুকুম আরোপিত হয়নি। যারা অনুমতি পেয়েছেন বা পাবেন, তাদের ওপর হজ ফরজের হুকুম আরোপিত হবে, তারা হজ আদায় করতে পারবেন। এখানে প্রতীকী বলে কিছু নেই। প্রতীকী অর্থ রূপক আয়োজন, এটা অনেকটা রাজনৈতিক কর্মসূচি। কোনো কিছুর মূল আয়োজন করতে না পেরে তার অনুরূপ কিছু করাকে প্রতীকী আয়োজন বলে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যারা হজে অংশ নিচ্ছেন, তারা ফরজ ইবাদত পালন করছেন। তাদের ইবাদতকে প্রতীকী বলার কোনো অবকাশ নেই। আমরা অসুস্থ হলে অনেক সময় দাঁড়াতে না পেরে বসে নামাজ আদায় করি, বসতে সমস্যা হলে শুয়ে নামাজ আদায় করি। ইসলামে এমন বিধান দেওয়া আছে। ওই নামাজ কী প্রতীকী নামাজ? উত্তর অবশ্যই না। পরিবর্তিত অবস্থায় ওইভাবেই নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। চলতি হজের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এমন। তবে হ্যাঁ, সৌদি সরকার যদি অন্যায়ভাবে হজের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতো, তাহলে সেটা হতো ভিন্ন প্রসঙ্গ। হজের সফর বাধাগ্রস্ত হওয়াকে ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় ‘ইহসার’ বলা হয়। যেমন সপ্তম হিজরিতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহর উদ্দেশে মদিনা থেকে বের হন। কিন্তু হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছার পর মক্কার মুশরিকদের বাধা দেন। ইসলামি আইনজ্ঞরা হজ বা উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধার পর বাধাপ্রাপ্ত হলেই শুধু ইহসার শব্দের প্রয়োগ করেন। সুতরাং কেউ ইহরাম বাঁধার আগে বাধাপ্রাপ্ত হলে তার ওপর কোনো কিছু আবশ্যক হবে না। তবে আল্লাহর ঘরে পৌঁছাতে না পারার কারণে ব্যথিত ও অনুতপ্ত হবে। আল্লাহর কাছে এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য দোয়া করবে এবং মনে মনে ইস্তেগফার করবে। হানাফি মাজহাব মতে, ইহরাম বাঁধার পর যেকোনো কারণে আরাফার ময়দানে অবস্থান ও তাওয়াফ করতে বাধাপ্রাপ্ত হলে তা ইহসার বলে গণ্য হবে এবং তার জন্য পশু কোরবানি করা আবশ্যক হবে। যতক্ষণ না প্রেরিত পশু হারামে না পৌঁছাবে অথবা তার নামে সেখানে পশু কোরবানি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ইহরাম ত্যাগ করবে না। আর হজ ও উমরার বাধা দূর হওয়ার পর পুনরায় তা আদায় করে নেবে। অন্য মাজহাব মতে, কেবল শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে তাকে ইহসার বলা হবে। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, পথে অর্থ শেষ হয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হজে যেতে না পারলে তারা তাকে ইহসার বলেন না। ফলে তাদের মতে, শত্রু কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে অন্য কারণে হজ ও উমরায় যেতে না পারলে তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন