যেসব দেশে বিমানবন্দর নেই
এক দেশ থেকে আরেক দেশ—উড়োজাহাজই তো সবচেয়ে বড় ভরসা। হাজার হাজার মাইল পথ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যায় এর মাধ্যমে। অবশ্য বর্তমান যুগে সময় বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে পৃথিবীতে এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যেখানে কোনো বিমানবন্দর নেই।
ভ্যাটিকান সিটি ইতালির রোম শহরের ভিতরে অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই খুবই পরিচিত দেশ। কারণ দেশটির রাষ্ট্রনেতা হচ্ছেন পোপ। কিন্তু এই দেশে কোনো বিমানবন্দর নেই। ইতালির রোম এয়ারপোর্টে নেমে সেখান থেকে সড়কপথে যেতে হয় মাত্র ৪৬ হেক্টর আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট এই দেশটিতে।
মোনাকো ইউরোপের দেশ মোনাকো। এটি আয়তনে পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ জনঘনত্ব-বহুল রাষ্ট্র। দেশটি ফ্রান্সের দক্ষিণ পূর্বে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ফরাসি ভাষাই ব্যবহৃত হয়। দেশের প্রধান প্রিন্স আল্বারত। পর্যটন শিল্পই দেশটির প্রধান অর্থনীতি। কিন্তু দেশটিতে কোনো বিমানবন্দর নেই। তবে ফ্রান্সের নাইস কোর্ট ডি আনজুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মোনাকো পৌঁছোতে আধা ঘণ্টারও কম সময় লাগে।
লিচেনস্টেইন অনেকে চমকে উঠবেন- এই নামে কোনো দেশের কথা তো শুনিনি! ইউরোপের কেন্দ্রস্থলেই দেশটি অবস্থিত। দুটি স্থল পরিবেষ্টিত দেশ সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া ঘিরে রেখেছে ক্ষুদ্র এ দেশটিকে। আল্পস পর্বতমালার অভ্যন্তরে রাইন নদীর উপত্যকার একটি অংশে অবস্থিত মোটামুটি ত্রিভুজাকৃতির মতো দেশটি ছবির মতো সুন্দর। এই দেশেও নেই কোনো বিমানবন্দর। প্রতিবেশী সুইজারল্যান্ডের গ্যালেন আলটেনহেইন এয়ারপোর্ট থেকে লিচেনস্টেইনের দূরত্ব মাত্র ৩৮ কিলোমিটার।
অ্যান্ডোরা পূর্ব পিরেনিস পর্বতমালায় ফ্রান্স ও স্পেনের মাঝে অবস্থিত অ্যান্ডোরা। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। ১৯৫০-এর দশকে এসে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র হলেও এনডোরাতে পিরেনিসের সেরা স্কি ও স্নোবোর্ডিং-এর ব্যবস্থা আছে। হাইকিং, বাইকিং ও আল্পস পর্বতমালার অসাধারণ দৃশ্যাবলি গরমকালে পর্যটকদের ডেকে আনে। দেশটিতে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় স্পেন বা ফ্রান্স থেকে প্রবেশ করতে হয় পর্যটকদের।