মাদারীপুরে তিন দিন পর এল প্রতিবেদন, ২২ জনের করোনা শনাক্ত
মাদারীপুরে তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ৮৪ জনের প্রতিবেদন এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এর মধ্যে করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩০। আজ সন্ধ্যায় জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, ১৫ ও ১৬ জুন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ২৪০ জনের নমুনা পাঠানো হয় ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ল্যাবে। ২১ জুন ২৪০ জনের প্রতিবেদন আসার বদলে এসেছিল ১৫৬ জনের প্রতিবেদন, যা থেকে করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হন ৬০ জন।
এদিকে, ১৮ জুনের পর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয় আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ল্যাবে। ল্যাব পরিবর্তন করায় বাকি ৮৪ জনের প্রতিবেদন আসা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। প্রতিবেদন আসার নির্ধারিত সময় চলে যাওয়ায় তিন দিন ধরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আইসিডিডিআরবি ল্যাবে একাধিকার যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে ৮৪ জনের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আজ বিকেলে আসে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। নতুন আসা প্রতিবেদনে করোনা শনাক্ত হয় ২২ জনের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন রাজৈর উপজেলায়।
বর্তমানে এই উপজেলায় মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৮৫ । এ ছাড়া এই প্রতিবেদনে শিবচরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি এম আতাউর রহমান ও তাঁর মেয়ে, হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্য, উপজেলা পরিষদের এক কর্মীসহ ৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শিবচর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৯৬ জন কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হলেন। এদিকে সদর ও কালকিনি উপজেলা থেকে প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করা হলেও করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন গত চার দিন আসেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসায় জেলায় সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মীর রিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, আগে জেলা থেকে নমুনা পাঠালে তিন দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যেত। এখন ল্যাবে অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রতিবেদন সময়মতো আসতে সমস্যা হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিবেদন আসতে ৭-৮ দিন চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজকের এই ৮৪ জনের নমুনার প্রতিবেদন আসতেই ৯ দিন লেগেছে। কিন্তু এর আগে এত দিন কখনোই লাগেনি। ১৯ জুন থেকে এখন পর্যন্ত পাঠানো ১ হাজার ১৬৬ জনের প্রতিবেদন আমরা পাইনি। তবে কাল (শুক্রবার) থেকে রোজই কমবেশি প্রতিবেদন আসবে। আশা করছি এ ধরনের সংকট থাকবে না।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.