ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে তালা ঝুলিয়ে মালিক লাপাত্তা
বিনিয়োগকারীদের বিপাকে ফেলে শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট হাউজের মালিক লাপাত্তা হয়ে গেছেন। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজে তালা লাগিয়ে আড়ালে চলে গেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এ অবস্থায় ওই হাউজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি এ হাউজটি থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়। তবে এর বিনিময়ে ডিএসইকে দেয়া চেক বাউন্স করে। ফলে হাউজটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ডিএসই। তাদের কাউকে না পেয়ে কেনা শেয়ারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করে ডিএসই। ডিএসই খোঁজ নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাউজটির কারো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তারা লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অফিসে এখন তালা ঝুলছে।
এ বিষয়ে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদ উল্লাহর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হাউজটি বন্ধ নিয়ে গত ২৩ জুন থেকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এর আলোকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিনিয়োগকারীরা ২৪ জুন সরেজমিনে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের পুরানা পল্টনে প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তালা ঝুলছে দেখতে পায়।
কিছু কিছু বিনিয়োগকারীকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ থেকে দেয়া চেকও বাউন্স করেছে। হাউজ থেকে তাদের চেক দেয়া হয়েছে টাকা তোলার জন্য। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে তারা দেখে অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের টাকা ও শেয়ার যাতে সুরক্ষা পায়, তা নিশ্চিত করতে বিএসইসিসহ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।