বিচারকের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ফেরদৌস আহমেদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি মরহুম এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন। গতকাল বুধবার রাতে এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেরদৌস আহমেদ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় করোনাভাইরাসে ( কোভিড-১৯ ) আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি করোভাইরাসে সৃষ্ট মহামারির সময়েও জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফেরদৌস আহমেদ একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ ৩৬ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৌস আহমেদ (৫৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মারা যান। গতকাল বুধবার রাত ৮টায় বিচারক ফেরদৌস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বলেন, ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর ভোলা থেকে লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন মো. ফেরদৌস আহমেদ। তিনি গত ১ জুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে যান এবং ৪ জুন আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করে আবার ঢাকায় ফিরে আসেন।
এরপর বিচারক ফেরদৌস অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে পজেটিভ ধরা পড়ার পরই তাঁকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি গতকাল রাতে মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামালপুর শহরে মরহুমের জানাজা ও পরে সেখানেই তাঁর দাফন হবে। ১৯৮৪ সালে বিচার বিভাগে মুন্সেফ হিসেবে (সহকারী জজ) হিসেবে যোগদান করেন ফেরদৌস আহমেদ।