সীমিত পরিসরে ২ জুন থেকে সিঙ্গাপুরের মসজিদসমূহে ওয়াক্তিয়া নামাজের জামাত আদায় করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটির ইসলামিক কাউন্সিল অফ সিঙ্গাপুর (MUIS) ঘোষণা দিয়েছে শুক্রবার (২৬ জুন) থেকে ধীরে ধীরে জুমার নামাজের জন্যে মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হবে।
তবে জুমার নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মসজিদগুলোতে সীমিত সংখ্যক মুসল্লির প্রবেশ নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।বুধবার (২৪ জুন) দেশটির ইসলামিক কাউন্সিল অফ সিঙ্গাপুর (এমইউআইএস)-এর বরাতে অন ইসলাম এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, চলমান সময়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবজনিত কারণে জাতীয় নির্দেশনাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মসজিদসমূহে জুমার নামাজের জন্য স্থান বুকিং পদ্ধতি অনলাইনের মাধ্যমে চালু করা হবে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে নামাজে অংশগ্রহণকারীর জন্য নির্দিষ্ট দিন ও নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বুধবার (২৪ জুন) সকাল নয়টা থেকে শুক্রবারের জুমার জন্য অনলাইনে বুকিং শুরু হয়েছে। যথাযথভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে মসজিদে প্রবেশ কেবলমাত্র এনআরসি অথবা এফআইএন ব্যবহার করে সেফ এন্ট্রির অনুমতি মিলবে। এ জন্য ট্রেস টুগেদার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
সিস্টেমটি জুমার নামাজের জন্য প্রযোজ্য। করোনার কারণে আপাতত প্রত্যেক মসজিদে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি করে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জুমার খুতবা এবং নামাজ ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে।অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের কারণে প্রতি তিন সপ্তাহে একজন জুমার নামাজের জন্য অনুমতি পাবেন। যারা জুমার অনুমতি পাবেন না। তাদের জন্য সিঙ্গাপুরের ফতোয়া বোর্ড পরামর্শ দিয়েছে, জুমার নামাজের স্থলে নিয়মিত জোহরের নামাজ আদায় করে নিতে। এটাই তাদের জন্য যথেষ্ট।
এই ছাড়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যারা সংক্রমিত এবং সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ছাড়া ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ, যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুখ রয়েছে এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা জুমায় অংশ নেওয়ার অনুমতি পাবেন না।
যারা জুমার নামাজে অংশ নিতে পারবেন না, তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে নামাজের স্থানে (যেখানে জুমা হয় না) নামাজ আদায় করতে পারবেন। এমনকি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতের আয়োজন ও করতে পারবেন। কিন্তু মুসল্লির সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারবে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.