ভার্চুয়াল আদালতের বিলে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে সংসদীয় কমিটি

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০, ১৮:২৭

ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে সংসদে উত্থাপিত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল, ২০২০’ বিলে দেশের বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে সংসদীয় কমিটি।বুধবার (২৪ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


কমিটির সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, আমরা বিলটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনতে চাই। এ জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল, বিশিষ্ট আইনজীবী বাসেত মজুমদার, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক স্যারকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। ওনাদের মতামতও আমরা শুনতে চাই। কমিটির সভাপতি ঠিক করবেন কোন কোন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু বলেন, বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অধিকতর বিচার বিশ্লেষণ ও মতামত গ্রহণের জন্য দেশের প্রখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর সুপারিশ করা হয়। কমিটির পরবর্তী বৈঠক ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।

ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে ইতিপূর্বে জারি করা অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে গত মঙ্গলবার বিলটি সংসদে তোলা হয়।সংসদে উত্থাপিত বিলে ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা ও অংশগ্রহণ ভার্চুয়াল উপস্থিতি বলে গণ্য হবে।

বিলটি উত্থাপনের পরে পরীক্ষা করে ৫ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চুয়াল আদালতের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। না হলে ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা লোপ পাবে। আগামী ২৯ জুন বিলটি পাস হতে পারে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও