কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


৫০০০ বছর ধরে মৃত মা সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছেন পরম আদরে

প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায়শই তাদের গবেষণার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খনন কাজ করে থাকেন। এই সময় বিভিন্ন পুরার্কীতি, মানুষের হাড়, পশুর জীবাশ্ম পান। যেগুলো কোনো না কোনো সভ্যতাকে নিদর্শন করে। নতুন করে বিশ্ববাসীকে পরিচয় করিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া এসব সভ্যতাকে। যেখানে সবকিছুর সঙ্গে হারিয়ে গেছে অনেক মানুষের জীবনের কাহিনী, সুখ, দুঃখ, অতীত। অনেক সমাধিও খুঁজে পান তারা।  ২০১৪ সালে তাইওয়ানের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় দুই মাইল ভেতরে নিওলিথিক বলে একটি জায়গায় খনন কাজ চলছিল। কাজটি করছিলেন তাইওয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব সায়েন্সের চু হুই-লি এর নেতৃত্বে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। এই জায়গাটি এখন তাইচং সিটি নামে পরিচিত।  বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উপকূলীয় স্থানটিতে একসময় গ্রাম ছিল। যার নাম ছিল আন-হো। এখানে অনেক মানুষের বাস ছিল। উপকূলীয় জায়গা হওয়ায় এখানকার মানুষ হয়তো হাঙ্গর শিকার করে খেত। এই পুরো অঞ্চল জুড়ে ২০০টিরও বেশি হাঙ্গরের দাঁত এবং হাড় পেয়েছিলেন তারা। এখানকার লোকেরা দাবেনকেং উপজাতির লোক ছিল বলেও ধারণা করেন গবেষকরা।    আন-হো’তে ৪৮ টি সমাধি আবিষ্কৃত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল শিশুদের। বাকিগুলো প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষদের। তারা কীভাবে মারা গিয়েছিল তা জানা যায়নি। এরমধ্যে একটি সমাধি খনন করে পুরোই তাজ্জব বনে যান গবেষকরা। সেটি ছিল একজন নারী এবং একটি শিশুর। যেখানে মেয়েকে কোলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে শুইয়ে আছেন নারী।  তাদেরকে দেখে বোঝা যায়, একজন যুবতী মা তার সন্তানকে পরম মমতায় আকড়ে ধরে আছেন। মা তার শিশু সন্তানের দিকে মুখ করে তাকানো ছিলেন। গবেষণায় জানা যায়, মায়ের উচ্চতা ছিল পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি আর শিশুটির উচ্চতা ছিল ৫০ সেন্টিমিটার। মায়ের বয়স ছিল খুবই কম। তরুণী বলা যেতে পারে। আর শিশুটির বয়স ছিল এক বছরের কম।    কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা যায়, সমাধিটি চার হাজার ৮০০ বছর পূর্বের। যেসময় পাথরের ভেতরে মানুষকে সমাধি দেয়া হত। মায়ের ডান বাহুতে শিশুটি ছিল এবং তার মুখটি শিশুর দিকে করা ছিল। এটি পাঁচ হাজার বছর আগেরও হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। বর্তমানে এটি তাইওয়ানের ন্যাশনাল যাদুঘরে রাখা আছে।  সেখানকার গবেষকরা এখনো এই সমাধি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। মরে গিয়েও সন্তানকে আগলে রেখেছেন মা। কি হয়েছিল এই মা ও শিশুটির। কীভাবেই বা তারা মারা গিয়েছিল? নাকি তাদের জীবিত কবর দেয়া হয়েছিল? তা সবই প্রশ্ন এখনো। বিস্তর গবেষণার পরে হয়তো জানা যাবে এই মায়ের তার শিশুকে এতো বছর আগলে রাখার কাহিনী।  তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকার চেংহাভা সাং বলেন, দাবেনকেংর লোকেরা তাইওয়ানের প্রথম কৃষক জাতি ছিল। যারা প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চীনের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে এসেছিল। এই সংস্কৃতি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানে পাওয়া প্রাচীনতম নিওলিথিক সংস্কৃতি। তারা কৃষি কাজের পাশাপাশি মৃৎশিল্প এবং পাথরের কাজ করত।  খননের সময় এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাড়ি-পাতিল এবং ব্যবহার্য নানা জিনিস পাওয়া যায় এখানে। যেগুলো মাটি এবং পাথরের তৈরি ছিল।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন