দুঃসময়ে নিজ এলাকার শিল্পীদের পাশে আশিক
বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি আশিকের। তবে করিমের গানই তাঁর প্রাণ। হবিগঞ্জের ছেলে সৈয়দ আশিকুর রহমান ১৫ বছর ধরে চর্চা করছেন এই বাউলের গান। সংগীতপ্রিয় মানুষ তাঁর কণ্ঠে করিমের গান সাদরে গ্রহণও করেছেন। করোনার এই দুঃসময়ে নিজ এলাকার সংকটে থাকা শিল্পীদের সাহায্য করছেন আশিক।
করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বাউল ও স্থানীয় শিল্পীর রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। আশিক জানান, ৯ দফা এ রকম বেশ কিছু শিল্পীকে সহযোগিতা করেছেন তিনি। আশিক প্রথম আলোকে বলেন, 'নিজের পকেট থেকে, অন্যদের থেকে চেয়ে নিয়ে আমি সংকটে পড়া মানুষ ও শিল্পীদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি।'
২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমে জায়গা করে নেন আশিক। জনপ্রিয়তা দেশ থেকে তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে বিদেশেও। বহুবার বিদেশে গেছেন গান করতে। আজ রাতে শাহ আবদুল করিমের গান শোনাবেন আশিক। প্রথম আলোর করোনাকালের আয়োজন 'ঘরে বসে শোনাব গান' অনুষ্ঠানে গাইবেন তিনি।
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রথম আলোর ফেসবুক লাইভে উপভোগ করা যাবে তাঁর গান।করোনায় বিশ্বব্যাপী ঘরের ভেতর দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। তাঁদের বিষণ্নতা দূর করতে প্রথম আলো আয়োজন করেছে গানের বিশেষ অনুষ্ঠান 'ঘরে বসে শোনাব গান'। নিজ নিজ ঘরে বসে গান গেয়ে শ্রোতাদের মন ভালো করছেন বাংলাদেশি শিল্পীরা। আশিক আজ শোনাবেন শাহ আবদুল করিমের 'গান গাই আমার মন রে বোঝাই', 'আগের বাহাদুরি এখন গেল কই', 'গাড়ি চলে না', 'আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম' গানগুলো। তিনি বলেন, 'পনেরো বছর ধরে আমি আবদুল করিমের গান করি। তাঁর প্রয়াণের পর তাঁর গানের প্রতি আমার দুর্বলতা ভীষণভাবে বেড়ে যায়। শ্রোতারাও আমার কণ্ঠে তাঁর গান গ্রহণ করেছেন।'