যেভাবে প্রতিমাসে ১০ লাখ টাকা খরচ করতেন সুশান্ত
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাকে ঘিরে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মামলায় এরই মধ্যে ১৫ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সম্প্রতি সুশান্তকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তার সর্বশেষ ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। এই অভিনেতা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি। বান্দ্রা পুলিশ জানায়, সুশান্তের ম্যানেজার হিসেবে শ্রুতি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কাজ করেছেন। নায়কের নানা অভ্যাস ও শখের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে এই ম্যানেজার।
বান্দ্রা পুলিশকে শ্রুতি মোদী জানান, এই আত্মহত্যার পিছনে সুশান্তের আর্থিক অবস্থা মোটেও দায়ী নয়। কারণ, সুশান্তের আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল না। প্রতি মাসে সুশান্ত প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি টাকা খরচ করত। বান্দ্রাতে তার ফ্ল্যাটের ভাড়াই ছিল সাড়ে চার লক্ষ টাকা। লোনাওয়ালায় পাবনা বাধের কাছে একটি ফার্মহাউসও ভাড়া করেছিলেন এই অভিনেতা। সেখানেও ভাড়া দিতে হতো একটা বড় অঙ্কের টাকা। শ্রুতি আরও জানান, গাড়ি ও বাইকের প্রতি দুর্বলতা ছিল সুশান্তের।
রেঞ্জ রোভার, মাসেরাতি কোয়াত্রোপোর্তে ও একটি বিএমডব্লু বাইক ছিল সুশান্তের। এগুলো মেইটেনেন্সের পেছনেও খরচ হতো।বেকার ছিলেন না সুশান্ত। বর্তমানে চারটি কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন গ্রহ ও তারাদের দেখা নেশা ছিল তার। বান্দ্রা পুলিশ জানায়, নেশন ইন্ডিয়া ফর ওয়ার্ল্ড নামের একটি প্রজেক্ট শুরু করেছিলেন সুশান্ত। যার মাধ্যমে নাসা ও ইসরো থেকে নানা তথ্য তুলে ধরার কথা ছিল। বান্দ্রা পুলিশ বৃহস্পতিবার সুশান্ত সিং রাজপুত ও যশরাজ ফিল্মসের চুক্তিপত্র খতিয়ে দেখতে চায়। ২০১৩ সালে শুদ্ধ দেশি রোমান্স ও ২০১৫ সালে ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বকসিতে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত। এই দুটিই ফিল্ম ছিল যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে। বান্দ্রা পুলিশের হাতে এসেছে যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে সুশান্তের চুক্তিপত্র।