পরীক্ষা না করে করোনার রিপোর্ট, গ্রেপ্তার ওভাল গ্রুপের মালিক
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করে থাকে ‘জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্য সেবা প্রজেক্ট‘ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি করতেন ‘করোনার পজেটিভি-নেগেটিভ রিপোর্ট’। এমন অভিযোগে আজ মঙ্গলবার ওভাল গ্রুপের মালিক আরিফ চৌধুরীসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হাসানাত খন্দকার এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা জানান।
হাসানাত খন্দকার বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার কথা বলে ভুক্তভোগী রোগীর সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ওভাল গ্রুপের মালিক আরিফ চৌধুরীসহ মোট ছয়জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রেপ্তারকৃতরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ করতেন। এই নমুনা সংগ্রহের পর তা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন না। পরীক্ষা না করেই নিজেদের কম্পিউটার দিয়ে করোনার রিপোর্ট বানাতেন। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল। পরে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। তারা করোনা রোগীদের সঙ্গে দুই মাস ধরে এই প্রতারণা করছেন।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরিফ চৌধুরীর দাবি, তেজগাঁও কলেজে তাদের একটি করোনার বুথ রয়েছে। ওই বুথ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত। সেখানে তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এটার আদলে তারা জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্টের নামে একটি পেজ খুলেছিল ফেসবুকে। সেখানে ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। ওই পেজ থেকে যেসব কল আসত তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। যাদের নমুনা সংগ্রহ করতেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে প্রতি রিপোর্টের জন্য পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হতো। আর বিদেশিদের কাছ থেকে নিতেন ১০০ ডলার। অথচ, কারো নমুনাই পরীক্ষা না করে তারা ইচ্ছেমতো নেগেটিভ-পজেটিভ বসিয়ে রিপোর্ট দিতেন।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.