
বয়স হার মানাতে পারেনি তাঁদের
ভারতীয় চলচ্চিত্রে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিগুলো ক্রমেই জানান দিচ্ছে নিজেদের শক্তির পরিচয়। তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় সিনেমার ভক্ত এখন বলিউড থেকেও যেন বাড়ছে ক্রমেই। করোনাকালে লকডাউন শিথিল করায় অনুমতি পাচ্ছে চলচ্চিত্র শুটিংয়ের। অন্য সব রাজ্যে ৬০ বছরের ওপরে অভিনয়শিল্পীদের শুটিংয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি নেই। তবে তেলেঙ্গানা সরকার এই বিষয়ে যেন একটু নীরব। কারণ, তেলেগু ছবির তারকা নায়কদের অনেকেরই যে বয়স ৬০–এর ওপরে!
পর্দা কাঁপানো মহাতারকা চিরঞ্জীবী, বালাকৃষ্ণ, নাগার্জুন কিংবা ভেঙ্কটেশ সবাই ষাটে পা দিয়েছেন। শুধু তেলেগু আর করোনার সময়েই নয়, কোনো সময়েই বয়স দাবিয়ে রাখতে পারেনি দক্ষিণ ভারতীয় তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় সিনেমার এই তারকাদের। ষাট কিংবা তার ওপরে, সংখ্যা কেবল সংখ্যাই হয়ে আছে। ৩০ বছরের তরুণ নায়কদের সঙ্গেই টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব আরেক তরুণেরা।
রজনীকান্তের কথাই ধরুন না। বলিউড কিংবা তামিল ভাষার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এই মহাতারকা নায়ক হিসেবে এখনো তরুণ। এ বছর পড়লেন সত্তরে। কিন্তু তাতে কী! ছবি মুক্তির সময়ে দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চলে যেন উৎসব শুরু হয়ে যায়। শুধু দক্ষিণ ভারতেই নয়, ভারতজুড়েই প্রণম্য এই তারকা। পূজিত হন ভক্তদের কাছে। বাসচালকের সহকারী থেকে ভারতের কিংবদন্তি তারকা বনে যাওয়া রজনীকান্তের সিনেমায় যাত্রা ১৯৭৫ সালে। এখনো চলছে তা। এ বছর মুক্তি পেয়েছে ‘দরবার’। আগামী বছর আসছে ‘অন্নাত্থা’।