কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একাত্তর বছরে কতটা সফল আ.লীগ

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০, ০৯:৩০

২৩ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ ৭১ বছরে আওয়ামী লীগের রয়েছে অনেক বড় বড় অর্জন।স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী দলটির রয়েছে নানা সফলতা। রয়েছে টানা ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড। অবশ্য নানা ক্ষেত্রে দলটির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কিছুক্ষেত্রে আপস করতে হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন এ দলকে। এক সময়কার কর্মীনির্ভর দলটি সাত দশকে এসে নেতানির্ভর হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে সরকার ও দল একাকার হওয়ার অভিযোগও আছে।

দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭১ বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। আবার কিছুক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতি ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

অবশ্য কিছু দুর্বলতার কথা স্বীকার করলেও সরকার ও দল একাকার হওয়ার বিষয়টি মানতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাবি, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশে কম বেশি এ ধরনের চিত্র রয়েছে। নতুন টার্মে ক্ষমতায় এসে সরকার ও দলকে পৃথক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সফলতাও এসেছে। নেতারা জানান, ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। সে সময় দলটির নাম আওয়ামী-মুসলিম লীগ রাখা হলেও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ধারণ করতে ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। দলটির নেতৃত্বে ভাষা অন্দোলন ও স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিচালিত হয়। দলের সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রাম করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর প্রায় চার বছরসহ বর্তমান পর্যন্ত ২১ বছর ক্ষমতায় এ দলটি। বর্তমানে টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করছে। অবশ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর টানা ২১ বছর দলটিকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে।

৭১ বছরের ইতিহাসে দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ৩৯ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আর বঙ্গবন্ধু সব মিলিয়ে ২৪ বছরের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন।

৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলটির সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আগের আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগের পার্থক্য করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। তখন আওয়ামী লীগ ছিল একটি কর্মীনির্ভর দল। এখন দলটি নেতানির্ভর হয়ে পড়েছে। শুরুর দিকে আওয়ামী লীগ ছিল তরুণ নেতাদের দল, আর এখন বুড়ো নেতাদের দল। এ দলে তরুণ নেতৃত্ব সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি। নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আসছে না।’

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে টানা ক্ষমতায় থাকায় দলটি ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার সমর্থিত হওয়ার কারণে এখন দলের মধ্যে কোনও প্রাণ নেই। এখন দল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার আর দল একাকার হয়ে গিয়েছে। সরকার দল চালায়।’

সর্বশেষ সম্মেলনে দল এবং সরকার আলাদা করার প্রচেষ্টার বিষয়ে গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে তরুণ এবং দলে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনকে বাদ দিতে দেখেছি। সিনিয়র কোনও নেতা বাদ যাননি। তারা দলেও আছেন সরকারেও আছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মন্ত্রিসভায় থাকলে সেটাকে বাদ দেওয়া বলে না।’

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের পদধারীরা সরকারের মন্ত্রিসভায় সম্পৃক্ত হবেন না— অতীতে এমন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ অন্যরা কেউ কেউ দলের স্বার্থে মন্ত্রিসভায় যোগ দেননি। আবার কেউ মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার কারণে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ আর নেই। তখন দল আলাদা ছিল সরকার আলাদা ছিল। যার কারণে দল শক্তিশালী ছিল। এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কোনও শক্তি নেই। সরকারের শক্তিতেই দল চলে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও