পোরশে-বিএমডব্লিউ কেনায় ব্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ার অতিধনীরা
সাত মাসের অপেক্ষা শেষে সম্প্রতি নিজের কালো পোরশে ক্যাইন ক্যু বুঝে নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী হোয়াং মিন-ইয়ং। লাল চামড়ার আসনবিশিষ্ট বিলাসবহুল গাড়িটি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বেরিয়ে পড়েছেন সিউলের নদীপাড়ঘেঁষা অত্যন্ত সুন্দর সড়কে। পছন্দের গাড়িটি নিয়ে হোয়াংয়ের কথা, পোরশে ছিল আমার স্বপ্নের গাড়ি।
আমার কোম্পানি কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমার ওপর আসলে কভিড-১৯ তেমন প্রভাব রাখেনি। হোয়াং একটি ছোট প্রযুক্তি কোম্পানির মালিক।দক্ষিণ কোরিয়া কভিড-১৯ সংকট দ্রুত সক্ষমতার সঙ্গে মোকাবেলা করার কারণে প্রিমিয়াম ও বিলাসবহুল গাড়ির চাহিদা বেড়েছে বলে জানান ডিলার ও কর্মকর্তারা।
ধনাঢ্য কোরীয়রা মহামারীর প্রভাবে কিছুদিন ঘরে আটকে থাকায় বিরক্ত হয়েছেন। এখন রাস্তায় তারা তাদের আভিজাত্য প্রদর্শনে মুখিয়ে রয়েছেন। গত মঙ্গলবার পোরশে কোরিয়ার সিইও হোলগার জার্মান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চলতি বছরটি আমাদের জন্য শক্তিশালী বছর হতে যাচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিলাসবহুল এ গাড়ি ব্র্যান্ডটির বিক্রি ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৪৩৩ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। তার তুলনায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালের পুরো ১২ মাসে বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৪ হাজার ২৮৫ ইউনিট ও ৪ হাজার ২০৪ ইউনিট গাড়ি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারীর মধ্যে আমদানীকৃত বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্পদের বৈষম্য কত বেশি।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ
- গাড়ি কেনা
- দক্ষিণ কোরিয়া