You have reached your daily news limit

Please log in to continue


৪৪ বছর ধরে ছবি বাঁধাই করেন সুভাষ

সুভাষ চন্দ্র দত্ত। দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে ছবি বাঁধাইয়ের পেশার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি ধরে রাখতে ফ্রেমবন্দি করেন। বাবা-মা কিংবা বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজার স্মৃতি। আবার কারো দুঃখের স্মৃতিও তিনি ফ্রেমবন্দি করেন। জানা যায়, পটুয়াখালী শহরের নতুন বাজার এলাকার বিপদ ভঞ্জন দত্তের মেজ ছেলে সুভাষ চন্দ্র দত্ত। ১৯৭১ সালের আগে জেলা শহরে ২টি ফটো ফ্রেম বাঁধাইয়ের দোকান ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুধু একটি প্রতিষ্ঠান ছিল ‘ভঞ্জন গ্লাস ওয়ার্কস’ নামে। তখন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন বিপদ ভঞ্জন দত্ত। তার মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন সুভাষ চন্দ্র দত্ত। এরপর তার হাত ধরে চারটি পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। সুভাষ চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘ভঞ্জন গ্লাস ওয়ার্কস আমার বাবার নামে করা। স্বাধীনতার আগে তিনি এটি করে গেছেন। বাবার হাত ধরেই আমার এ পথে হাঁটা। আমি এইচএসসি পাস করার পর ব্যবসায় পুরোপুরি যোগ দেই। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ যুবক আজ প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে জেলায় ৯টি দোকান রয়েছে। তবে বাঁধাইয়ের ৪টি দোকান সচল আছে।’ তিনি বলেন, ‘রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষ এখনো আছে। তাই ফ্রেম বাঁধাই করতে এখনো আসে। আমরা সব সময় রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষ খোঁজ করি। তবে এখন কাঠের ফ্রেমের প্রচলন উঠে গেছে। বর্তমানে ফাইবারের যেসব ডিজাইন আছে, সেসব ডিজাইন দেখার পর মানুষ কাঠের ডিজাইন পছন্দ করে না। তাই ফাইবার ফ্রেম বেশি চলে। সময়ও কম ব্যয় হয়।’ সুভাষের হাত ধরে স্বাবলম্বী চার প্রতিষ্ঠান হলো- চাঁদনী গ্লাস হাউজ, পটুয়াখালী বাঁধাই ঘর, সিপন বাঁধাই ঘর ও রায় গ্লাস হাউজ। চাঁদনী গ্লাস হাউজের মালিক সতীন্দ্র বলেন, ‘ফ্রেম বাঁধাইয়ের কাজ সুভাষ দার কাছ থেকে শিখেছি। তার আশীর্বাদ নিয়ে আজ আমি চাঁদনী গ্লাস হাউজের মালিক।’ পটুয়াখালী বাঁধাই ঘরের ওয়াসিম বলেন, ‘ফ্রেমের কাজ আমি যতটুকু জানি, তা সম্পূর্ণ সুভাষ ওস্তাদের কাছ থেকে শিখেছি। আজ নিজে দোকান দিয়েছি। পরিবার নিয়ে ভালো আছি।’ এদিকে কালের বিবর্তনে অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। আবার অনেকে পেশার টানে এখনো অন্য ব্যবসার সাথে বাঁধাইয়ের মালামাল পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। শহরের মিঠাপুকুর পাড়ের রায় গ্লাস হাউজের মালিক পরিমল রায় দীর্ঘ ২০ বছর এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, ‘পেশার মায়া ছাড়তে না পাড়ায় এখন ফ্রেমের যাবতীয় মালামাল বিক্রি করছি। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সরকারি নির্দেশনা এলে ছবির চাপ বাড়ে। এ ছাড়া এখন শুধু ছবি বাঁধাইয়ের একক দোকানও নেই। ২০ বছর আগে একক দোকান ছিল।’ শহরের সদর রোড এলাকার তারা মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর আগে আমি কোম্পানি থেকে ‘শ্রেষ্ঠ এমপ্লয়ি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছি। সেই ছবি আমার গেস্ট রুমের জন্য বাঁধাই করিয়েছি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন