কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘বলিউডই সুশান্তকে বাঁচতে দিল না’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০, ১৮:০১

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুর আগে কোনো চিরকুট লেখেননি। কারও দিকে অভিযোগের আঙুল না তুলেই নীরবে–নিভৃতে এক বুক হতাশা আর বিষণ্নতা নিয়ে চলে গেলেন গুণী এই বলিউড অভিনেতা। শোকে স্তব্ধ বলিউডে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে নানামুখী গবেষণা। একে একে মুখ খুলছেন নেপটিজমের শিকার অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকেরা।

করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশন, যশ রাজ ফিল্মস, টি সিরিজ, একতা কাপুরের বালাজি, সালমান খান প্রোডাকশন এবং নাদিয়াদওয়ালা প্রয়োজনা সংস্থা—এই ছয় প্রতিষ্ঠানের দিকে স্বজনপ্রীতির অভিযোগের আঙুল তোলেন কমল আর খান। অভিনব কশ্যপ তো সরাসরি বললেন, সুশান্তকে পরোক্ষভাবে খুন করা হয়েছে। বলিউড সুশান্তের মতো ট্যালেন্টকে বাঁচতে দিল না। ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ’ বা ‘সঞ্চিরিয়া’তে দুর্দান্ত অভিনয় করেও মেলেনি কোনো স্বীকৃতি।


আর কঙ্গনার ভিডিও তো প্রথম দিনেই ভাইরাল। যেখানে এই ‘কুইন’ বলেছিলেন, ‘যে ছেলে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ ছেড়ে অভিনয়কে জড়িয়ে ধরেছিল, তাকে “আপনারা” বাঁচতে দিলেন না। “কাই পো চে”, “ধোনি”, “কেদারনাথ”, “ছিছোড়ে”র মতো ছবি করেও সে কোনো স্বীকৃতি পায়নি। বলিউডে তার কোনো গডফাদার নেই বলে তাকে একা সব ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে। তবুও সে একা একটা কোণে পড়ে ছিল। কেন?’


শোকে স্তব্ধ বলিউডে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ইতিমধ্যে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। করণ জোহর ও আলিয়া ভাটকে আনফলো করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যে তিন দিনে আলিয়া ভাটের ফলোয়ার কমেছে ৫০ লাখের বেশি। তবে কমেও এখনো তাঁর ফলোয়ারসংখ্যা ৪ কোটি ৮০ লাখ। অন্যদিকে করণ জোহরের ২৫ লাখ ভক্ত ঝরে গেছে। এখন আছে ১ কোটি ৭০ লাখ। ভয়ে সোনম কাপুর ইনস্টাগ্রামে মন্তব্যের উঠান বন্ধ করে রেখেছেন। এরই মধ্যে জানা গেছে, ‘ছিছোড়ে’র পর সুশান্তকে সাতটি ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়।

রাজনীতিবিদ সঞ্জয় নিরুপম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একাধিক পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী ও সমালোচক ‘ছিছোড়ে’কে বলেছেন বলিউডের সর্বকালের সেরা সিনেমাগুলোর একটি। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য কেবল শুকনো প্রশংসাই কুড়িয়েছেন সুশান্ত। মেলেনি কোনো পুরস্কার। যদিও একই বছর অনন্যা পান্ডে ‘স্টুডেন্ট অব দি ইয়ার টু’–এর মতো বাজে ছবিতে অভিনয় করেও (পড়ুন চেহারা দেখিয়েও) ফিল্ম ফেয়ার, জি সিনেমা অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট ফ্রেশ ট্যালেন্ট পুরস্কার ঝুলিতে ভরে বাড়ি নিয়ে গেছেন।

গণমাধ্যমগুলোতেও উঠে আসছে এসব ক্ষোভ। এমনকি সুশান্তের বাবাও জানিয়েছেন, প্রায় ছয় মাস ধরে তাঁর ছেলে ভালো ছবি না পাওয়া ও পেয়েও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় হতাশার কথা বলেছিলেন। অন্তত তিনবার বাবাকে সুশান্ত ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশার কথা বলেছেন। কিন্তু অন্তর্মুখী আর লাজুক সুশান্ত মুখ ফুটে খুব বেশি কিছু বলেননি। সমস্যাটা কোথায় তিনি কিছুতেই ধরতে পারছিলেন না। শুধু বলেছিলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিচ্ছু ঠিক হয়নি। সবকিছু থেকে সুশান্ত নিজেই চলে গেছেন অনেক দূরে।

ইতিমধ্যে বিহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার ওঝা করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বানসালি, সালমান খান, একতা কাপুরসহ আটজনকে আসামি করে সুশান্তের আত্মহত্যার জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী করে আইপিসির ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা ঠুকেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও