কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘ঘাসও গজায় না যে গালওয়ান ভ্যালিতে’, সেটি নিয়ে কী করতে চায় ভারত বা চীন?

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০, ০৯:৩১

ভারতীয় পার্লামেন্টের 'ফোকলোর' বা লোকগাথার অংশ হয়ে আছে, এমন একটা কাহিনি দিয়ে শুরু করা যাক। সেটা ১৯৬২’র ভারত-চীন যুদ্ধের মাসকয়েক আগের কথা। পূর্ব লাদাখের কারাকোরাম ঘেঁষা এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চীন ক্রমশ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফেলছে– আর ভারত রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়, এমনই এক ইস্যুতে পার্লামেন্টে সেদিন উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক চলছিল।

প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই বিতর্কের একটা পর্যায়ে বলে বসেন, ‘আর তাছাড়া গোটা দুনিয়ায় এমন সৃষ্টিছাড়া জায়গা আর কোথায়ই বা আছে যেখানে একটা গাছ তো দূরে থাক– কোনও ঘাস পর্যন্ত জন্মায় না? অমন জায়গা আমাদের থেকেই বা কী লাভ?’

সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ান পণ্ডিত নেহেরুর দলেরই নেতা, দেরাদুনের ডাকসাইটে এমপি মহাবীর ত্যাগী। নিজের মাথাভর্তি বিশাল টাকের দিকে আঙুল দেখিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলে উঠলেন, ‘এ আপনি কী বলছেন? আমার মাথাতেও তো কোনও চুল গজায় না– কিন্তু তাই বলে কি এটার কোনও দাম নেই? না কি এটা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া যায়?’

খানিকটা রসিকতার ছলে বলা হলেও ভারত কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই টের পেয়েছিল মহাবীর ত্যাগী কী মোক্ষম কথাটাই না সেদিন বলেছিলেন। গালওয়ান ভ্যালির গুরুত্ব ভারত টের পেয়েছিল অনেক মূল্য দিয়ে। বস্তুত বাষট্টির চীন-ভারত যুদ্ধে প্রধানতম ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠেছিল গালওয়ান পোস্ট, সেখানে চীনা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩৬জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে দু’দেশের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

জওহরলাল নেহরু ও মহাবীর ত্যাগী

যে কোনও কারণেই হোক, পরবর্তী প্রায় ছয় দশকে চীন কিন্তু গালওয়ান ভ্যালির ওপর সেভাবে কোনও দাবিই জানায়নি, কোনও সেনা মোতায়েনও করেনি। তবে সেই পরিস্থিতি আমূল পাল্টে গেছে চলতি বছরের গ্রীষ্মে, যখন চীন গোটা গালওয়ান ভ্যালির ওপরেই নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করছে। শুধু তাই নয়, গত ১৫ জুনের রাতে এই নিস্তব্ধ উপত্যকাতেই ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাতে ভারতের অন্তত ২০জন সেনা নিহত হয়েছেন, যদিও চীনের দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট নয়।

কারাকোরামে তৈরি হওয়া গালওয়ান নদীটি আকসাই চীনের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসে মিশেছে লাদাখের শিয়ক নদীতে, যা আবার সিন্ধুর একটি প্রধান উপনদী। ঘটনাচক্রে এই গালওয়ান নদীর নামকরণও করা হয়েছিল লাদাখের এক বিখ্যাত মুসলিম অভিযাত্রী, গুলাম রসুল গালওয়ানের নামে। ভারত ও চীনের বিতর্কিত সীমান্তরেখার (এলএসি বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) কাছে এই গালওয়ানের প্রশস্ত উপত্যকাই আজ আবার দু’দেশের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত।

কিন্তু কেন এই জনমনিষ্যিহীন, দুর্গম প্রান্তর– যেখানে বছরের প্রায় দশমাস তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে এবং শীতে তা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছে যায়– সেটিকে ঘিরে ভারত ও চীনের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে বাংলা ট্রিবিউন দিল্লি ও দুবাইতে কথা বলেছে একাধিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্টের সঙ্গে। তাদের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ নিচে তুলে ধরা হলো।

জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী (ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান)জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী (ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান): গালওয়ান ভ্যালি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ওর পাশ ঘেঁষেই গেছে দৌলত বেগ ওল্ডি যাওয়ার নতুন রাস্তা। গালওয়ান ভ্যালিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারলেই দৌলত বেগ ওল্ডিতে আমাদের অ্যাকসেস ও ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) বজায় রাখা যাবে। আর এই দৌলত বেগ ওল্ডি-ই কিন্তু হিমালয়ের ওই অঞ্চলে প্রধান কানেক্টিং পয়েন্ট বা ট্রানজিট পয়েন্ট। সেখানে শুধু বিমান অবতরণের জন্য বিশ্বের উচ্চতম এয়ারস্ট্রিপ আছে তা-ই নয়, সিয়াচেন হিমবাহের যুদ্ধক্ষেত্রে রসদ ও সেনা পৌঁছে দেওয়ার জন্যও দৌলত বেগ ওল্ডি-র গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সীমানা বিরোধেরও শুরু ওখান থেকেই। কাজেই দৌলত বেগ ওল্ডি-কে ধরে রাখতে হলে গালওয়ান ভ্যালির ওপরও কব্জা চাইই চাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও