বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিম
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উপকূলীয় এলাকার সেইমোর দ্বীপে ২০১১ সালে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল চুপসানো ফুটবলের মতো দেখতে ৬ কোটি ৮০ লাখ বছরের প্রাচীন রহস্যময় এক জীবাশ্ম নমুনার। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা আসলে একটি ডিম। শুধু কি তাই? তারা দাবি করছেন, এটাই এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিম। এটি সম্ভবত সেই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী ডাইনোসরদের দাপটের সময়ে সমুদ্রে বসবাস করত এমন কোনো দানব আকৃতির প্রাণীর।
গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীরা জানান, সামুদ্রিক প্রাণীর ডিমের এই ফসিলটি আকারে ১১ ইঞ্চি উঁচু এবং ১১ ইঞ্চি প্রশস্ত। তবে বিশ্বের বৃহত্তম ডিমটির চেয়ে এটি সামান্য ছোট। বৃহত্তম ডিমটি উড়তে অক্ষম হস্তী-পাখির (এলিফ্যান্ট বার্ড), বিজ্ঞানীরা যার সন্ধান পেয়েছিলেন মাদাগাস্কারে। হস্তী-পাখি মাত্র কয়েকশ' শতাব্দী আগে পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। পাখি, তাদের ঘনিষ্ঠ সরীসৃপ জাতীর প্রাণী ক্রোকোডিলয়ানস এবং অনেক ডাইনোসর কঠিন আবরণযুক্ত ডিম পাড়ত। তবে অ্যান্টার্কটিকার অন্যতম প্রাচীন ফসিল নমুনা চুপসানো ডিমটির খোলস কোমল চামড়ার মতো।
এ ফসিলটির গবেষণায় নেতৃত্ব দেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ লুকাস লিজেন্দ্রে। তিনি বলেন, এটি বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিস্কৃত কোমল খোলসযুক্ত সবচেয়ে বড় ডিম।এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র এরই মধ্যে বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচারে প্রকাশ হয়েছে। চিলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির জাতীয় জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা ফসিলটির সন্ধান পেয়েছিলেন।লুকাস লিজেন্দ্রে বলেন, ডিমের খোলসটি খুবই পাতলা। সাধারণত টিকটিকি এবং সাপের ডিমের খোলস এমন বৈশিষ্ট্যযুক্ত।সেই যুগে অ্যান্টার্কটিকায় বাস করত ইগুয়ানা জাতের দানবাকৃতির সামুদ্রিক লিজার্ড। এরা সমুদ্রের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল মোসাসরাস এবং লম্বা-নাসার প্লেসিওসরাস।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- সন্ধান
- ডিম
- প্রাচীন
- অ্যান্টার্কটিকা