বিমানের টিকিট যেন সোনার হরিণ!
দীর্ঘ তিন মাস পর আন্তর্জাতিক রুটে শুধু কাতার এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইট চালু হলেও মিলছে না টিকিট। যাত্রীদের অভিযোগ, জুলাই পর্যন্ত অধিকাংশ টিকিট বিক্রি দেখিয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে এয়ারলাইন্সটি। ফলে বিপদে পড়েছেন ইউরোপ-আমেরিকাগামী হাজার হাজার প্রবাসী ও শিক্ষার্থী। যদিও এয়ারলাইন্সটির দাবি, ফ্লাইট কম হওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
সিভিল এভিয়েশন বলছে, কোয়ারেন্টাইনে সুবিধা সীমিত হওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে, বেশি ফ্লাইটের অনুমোদন দেয়া যাচ্ছে না। করোনা মহামারীর কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধের পর ১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ বিমানকে লন্ডনে একটি ও কাতার এয়ারওজেকে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হলেও টিকিট নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি যাত্রীদের। টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে না পেরে ফ্লাইট চালুর তিন দিনের মাথায় ঢাকা অফিস বন্ধ করতে বাধ্য হয় কাতার এয়ারওয়েজ।
যাত্রীদের অভিযোগ, এয়ারলাইন্সগুলো সংকটের সুযোগ নিচ্ছে। নিয়মিত ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসের কিছু টিকিট মিললেও দাম চড়া। আর আগে টিকিট কাটা যাত্রীদের পাত্তাই দিচ্ছে না কাতার এয়ারওয়েজ। যাত্রীরা বলেন, কোনোভাবেই কাতারের টিকিট পাচ্ছি না। সবগুলো টিকিট বুক দেখাচ্ছে। আর টিকিট প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার ওপরে দেখাচ্ছে। তবে বাড়তি ভাড়া আদায়সহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।
কাতার এয়ারওয়েজের সেলস ম্যানেজার বকশি মো. তৈয়ব বলেন, টিকিট পাচ্ছে না এ কথা ঠিক না। সবাই এক সাথে ট্রাই করছে তাই এমন হচ্ছে। সময় লাগবে। এদিকে ট্রাভেল এজেন্টরা বলছে, আরও এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট চালুর অনুমোদন দিলে এই সংকট হতো না। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, যেসব এয়ারলাইন্স ফ্লাইট অপারেশন করতে চাচ্ছে, আমার মনে হয় তাদের সুযোগ দেয়া উচিত।
২১ জুন থেকে এমিরেটস ও পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি এয়ালাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দেয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান। তবে ভাড়া নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কিছু করার নেই বলেও দাবি করেন তিনি। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, সংখ্যা আমরা বেশি বাড়াতে পারছি না। বাড়ার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।