কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লকডাউন নিয়ে টানাটানি

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ২২:৩৬

রাজধানীতে লকডাউন ঘোষণা নিয়ে হযবরল অবস্থা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশন বলছে, তাদেরকে জোনভিত্তিক ডিমার্কেশন তৈরি করে না দিলে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইনে বলা হয়েছে— মেয়রের নেতৃত্বে গঠিত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিহ্নিত জোনগুলো থেকে অগ্রাধিকার ও পারিপার্শ্বিক সক্ষমতা বিবেচনায় জোন বা স্পট বাছাই করবে। তবে এই গাইডলাইন অফিসিয়ালি জারি হয়নি বলে তা আমলে নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। বিষয়টি নিয়ে এখন একপক্ষ অপরপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছে। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কবে থেকে ঢাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন হবে।

জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। এরমধ্যে দক্ষিণ সিটির ২৮টি ও উত্তর সিটিতে পড়েছে ১৭টি এলাকা। কিন্তু সিটি করপোরেশন বলছে, তারা গণমাধ্যম সূত্রে এলাকাগুলোর নাম জানতে পারলেও লকডাউন কার্যকর করার বিষয়ে অফিসিয়ালি মাদার প্রতিষ্ঠান (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) থেকে কোনও নির্দেশ পায়নি। এছাড়া, সিটি করপোরেশন এ সংক্রান্ত যেসব কাগজপত্র পাচ্ছে সেগুলোতে কারও স্বাক্ষর নেই। ফলে এসব কাগজপত্রের ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না তারা। উভয় সিটি করপোরেশন বলছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে তারা ধোঁয়াশায় রয়েছে।

এদিকে গত ১০ জুন দু’টি এলাকা লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। আদেশটি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে পাঠানো হয়। ওই আদেশে বলা হয়, ‘প্রাথমিকভাবে অবিলম্বে তিনটি জেলা (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কী হবে, তা প্রয়োজন অনুসারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।’

তবে এই চিঠির পর উত্তর সিটি করপোরেশন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় লকডাউন কার্যকর করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ডিএসসিসি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কথায় তারা লকডাউন করতে পারে না। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসতে হবে।

এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাতে বলা হয়েছে, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সভাপতি করে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ১০ সদস্যের এ কমিটিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যরা উপদেষ্টা থাকবেন।’ কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিহ্নিত জোনগুলো থেকে অগ্রাধিকার ও পারিপার্শ্বিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে কমিটি জোন বা স্পট বাছাই করবে। নির্ধারিত জোন বা স্পটের লকডাউনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। এছাড়া জোন বা স্পট ব্যবস্থাপনা কমিটিকেও প্রয়োজনীয় গইডলাইন প্রদান করবে ১০ সদস্যের কমিটি।’

এই গাইডলাইন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা সমীচীন হবে বলে মনে করছে গাইডলাইন প্রণয়ন কমিটি। তারা গাইডলাইনের শেষাংশে বলা হয়েছে— ‘লাল বা হলুদ জোন এলাকার অফিস-আদালত পরিচালনা, কলকারখানা ব্যবস্থাপনা, দোকানপাট নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা বা বন্ধ রাখা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর হোম ডেলিভারি নিশ্চিত করা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন চক্রে অনেক মন্ত্রণালয় ও দফতরের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আইনগত এখতিয়ার সৃষ্টি এবং সমন্বিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার স্বার্থে নির্দেশিকাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি হওয়া সমীচীন হবে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত অধিদফতরের সেই গাইডলাইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়নি। আর এই গাইডলাইনে কারও স্বাক্ষর না থাকায় এটিকে আমলে নিচ্ছে না দুই সিটি করপোরেশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি, আমাদের সুনির্দিষ্ট করে এলাকাভিত্তিক তথ্য দেওয়া হোক। শুধুমাত্র একটি এলাকার নাম বলে দিলেই হবে না। কারণ, এলাকাতো অনেক বড়। পুরো এলাকা তো লকডাউন করা যাবে না। তাই আমরা বলেছি, এলাকা সুনির্দিষ্ট করে ডিমার্কেশন করে দেওয়া হোক। তাহলে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবো। তা না-হলে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও