সবকিছু থমকে যাবার পর

সমকাল প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ১৮:১৮

দীর্ঘ শীতনিদ্রা পেরিয়ে নিউইয়র্কের মাটিফুঁড়ে সদ্য মাথা তুলেছে লিলি-টিউলিপের ঝাড়, পত্রহীন ডালগুলো সেজে উঠছে গোলাপি হাসির চেরিতে। যদিও পারদের দাগে তাপমাত্র কখনও কখনও মাইনাস। তবুও অফিসিয়ালি এ দেশে বসন্ত শুরু। কিন্তু সবকিছু থমকে গেছে তারও আগে। গত সপ্তাহেই বন্ধ হলো স্কুল-কলেজ। পৃথিবীর রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক, এখানে প্রায় ১৭০টি ভাষাভাষির অভিবাসীর বাস। ঘনবসতি আর অবৈধ অভিবাসীদের ঘনত্বের কারণেও সুখ্যাতি আছে এ রাজ্যের। এ শহর ঘুমায় না বলে বিশ্ব জানে বহুকাল; সেই মোবেলিটির শহরটি এখন ভূতুড়ে। রাস্তা মানুষশূন্য। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে এসে দাঁড়ানো মেট্রোরেলের লম্বা পেট ভরে যেত নিমেষেই, সেই সাবওয়েও এখন জনশূন্য। এখানে এখন জরুরি অবস্থা চলছে, যদি আর একটু আগে যদি ফিরে যাই, তবে দেখতে পাব কি হচ্ছিল সবার ভেতরে ভেতরে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়, আমি যে ইনস্টিটিউটে পড়ছি, সেখানে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা করোনাভাইরাস সম্পর্কে বক্তব্য দিলেন। ক্লাস রুমের সামনে বসল অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিভাইস, হাত পাতলেই বেরিয়ে আসবে সুরক্ষা! বলা হলো, পারস্পরিক দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে, প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করো এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার প্রসঙ্গে। মার্চের শুরুতে ক্লাস লেকচার হলো সিডিসি (ঈউঈ) ওয়েবপেজ ও করোনার ওপর। সবাই যেন এখন থেকে সিডিসি (ঈউঈ) ফলো করি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নিউইয়র্কে হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকে পাবলিক পরিবহনে ছুটছে, আমিও। ব্যাগে একটি মাস্ক নিয়েছিলাম, আর ব্যাগে সারা বছরই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে। কিন্তু মাস্ক আমি ব্যবহার করিনি। কেননা গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে বা বসেই মেট্রোতে যাচ্ছিলাম, কদাচিৎ কেউ মাস্ক ব্যবহার করছে, তা ১০০ জনে একজন। অন্যদিকে সরকারিভাবে বলা হচ্ছিল, যারা সুস্থ তাদের মাস্ক ব্যবহার দরকার নেই। ইতোমধ্যে মাস্ক পরার কারণে দু-একজন এশিয়ান হেটক্রাইমের শিকারও হয়েছেন। মার্চের শুরুতে কেউ কেউ মাফলার দিয়ে নাক ঢেকে চলছিল। বিষয়টা কেউ মুখ ফুটে বলছে না, সবাই সবার প্রয়োজনে ছুটে চলছে কিন্তু কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা এইসব মানুষের চোখেমুখে আতঙ্ক। পারস্পরিক দৃষ্টিটা ছিল যেন সবাই ভাইরাস বহনকারী; সতর্ক আর ভয়ার্ত চোখ! এমনই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলছিল। মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করল, শুরু হয় দোকানে দোকানে ভিড়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই, টয়লেট টিস্যু নেই। এভাবে আমরা ধীরে ধীরে সবাই করোনা মহামারিতে ঢুকে পড়ি। জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে করোনায় আক্রান্ত জীবনহানি ঘটে গেছে। করোনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেরও বেশ পরে জরুরি অবস্থার ঘোষণা এলো। এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে আক্রান্তদের সংখ্যা-পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, আর এ সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও