কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনায় গা ঢাকা দিয়েছে বরগুনা জাতীয় পার্টি

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ১২:২৩

করোনাভাইরাসের মহামারিতে গা ঢাকা দিয়েছে বরগুনা জাতীয় পার্টি। এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দলটির নেতাকর্মীদের। তাদের নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতেও দেখা যায়নি কোনো নেতাকে। আম্ফানের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগেও দেখা মেলেনি তাদের। চরম বিপদের এ মুহূর্তে অসহায় সাধারণ মানুষতো দূরের কথা, বরগুনায় দলের দরিদ্র কর্মী-সমর্থকরা পর্যন্ত ন্যূনতম সহায়তা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বরগুনা ডিকেপি রোডের এক কর্মী বলেন, জাতীয় পার্টিতো নিজ দলের কর্মী সমর্থকদেরই খোঁজখবর রাখে না। তারা আবার জনগণের খোঁজখবর নেবে কখন? নির্বাচনে পার্টির জন্য দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি কিন্তু করোনার এই দুর্যোগে কেউই খোঁজ রাখছে না। নিজেরা অন্যের বাড়িতে ডেইলি কাজ করি। লকডাউনের কারণে আয় রোজগার বন্ধ। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে অসহায় দিনযাপন করছি কিন্তু এই দুর্যোগে কোনো নেতাকর্মী সাহায্য করা তো দূরের কথা একবার খবরও নেয়নি।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারাও। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেন, চরম সত্য হলো দলটি এখন নামে মাত্রই আছে। কোনো মানুষের পাশে আর নেই। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো চরম এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুহূর্তেও কেউ জনগণের পাশে ছিল না। বরগুনা শহরের ব্যবসায়ীসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেও মিললো একই চিত্র। তারা জানান, আয়-রোজগারে ভাটা পড়ায় পরিবারে তিন বেলা খাবার জুটছে না। কি নিদারুণ অভাবে আমাদের দিন কাটছে তা আমরাই জানি। জাতীয় পার্টিকে কেবল নির্বাচনের সময়ই দেখা যায়। তখন পোস্টার, ব্যানার, মাইকিং করে করে নানা প্রতিশ্রুতি দিতে দেখেছি। কিন্তু নির্বাচন শেষে তাদেরকে হারিকেন জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। আর বিপদের সময়ত দেখাই মেলে না।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন বস্তিতে থাকেন ৭০ ঊর্ধো বিধবা মহিলা আছিয়া বেগম। জাতীয় পার্টি থেকে করোনা বিপর্যয়ে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘এই পার্টির কতা আমাগোরে জিগান ক্যান? হ্যাগো কোনো কালে দেহি নাই আমাগো সাহায্য সহযোগিতা করছে। দুই ব্যালা নাই খাইয়া থাকলে তো কেউই মোগে জিগায় না, খাইয়া আছি নাকি না খাইয়া আছি। মোরা হ্যাগো চিনি না। নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে আইছিলো মুখের উপর বইলা দিছি তোমাগো আমরা চিনি না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও