গত বুধবার দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতায় একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে— চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢোকার পথে একটি স্ট্রেচারে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে শাওন নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু এবং মেঝেতে হাত-পা ছড়িয়ে বিলাপ করছেন তার দাদা। ছবিটি দেশের সব বাবা-মা ও দাদা-দাদিসহ সাধারণ নাগরিকের হৃদয়ে বেদনা, ক্ষোভ আর হতাশার অনুভূতি তৈরি করবে।
ছবিটি বেদনার কারণ, শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা মেনে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। ক্ষোভ হবে কারণ, সহজেই এড়ানো যেত। হতাশার কারণ, এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে আর না তৈরি হয়, তার জন্য কিছুই করা হবে না এবং হৃদয়বিদারক ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
বাড়ির কাছে খেলার সময় তিন চাকার একটি যান ধাক্কা দেয় শিশু শাওনকে। এরপর শাওনের বাবা-দাদা মিলে একের পর এক চারটি হাসপাতাল ঘুরেও তাকে কোথাও ভর্তি করাতে পারেননি। চিকিৎসা না দেওয়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যাও দেয়নি কোনো হাসপাতাল। দরিদ্র হওয়ায় তারা এর কারণ জিজ্ঞাসা করারও সাহস পাননি। অবশেষে তারা যান চমেক হাসপাতালে। সেখানকার ডাক্তাররা শাওনের কাছে গেলেও, তাকে আর বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে যে সময় নষ্ট হয়েছে, শিশু শাওনকে তার মূল্য দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে। চিকিৎসা বঞ্চিত করে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিশুটিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.