অপুর মন্তব্যে হতবাক শাবানা
নন্দিত অভিনেত্রী শাবানাকে উদ্দেশ্য করে নায়িকা অপু বিশ্বাসের অভিমানী একটি ফেসবুক পোস্ট কদিন ধরে বেশ আলোচিত হচ্ছে। সেটি দেখে হতবাক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শাবানা। যদিও অপু বিশ্বাসের সেই পোস্টে শাবানার নামের উল্লেখ নেই। বরং ব্যবহার করা হয়েছে ‘লিজেন্ড’ শব্দটি। অপু বিশ্বাস ফেসবুকে ওই পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য ফাঁস হয়ে যায়, কে সেই লিজেন্ড। মন্তব্যের ঘরে অপু বিশ্বাসের চাচাতো বোন শেলী আক্তার সেটা নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন ‘হ্যাঁ, সেদিন আমিও ছিলাম তোমার সাথে। শাবানা মাডাম-এর বাসায় তো...’।
গত সোমবার সন্ধ্যায় অপু বিশ্বাস তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ২০১৭ সাল। সন্তানকে নিয়ে যখন বিপাকে, তখন বুকভরা আশা নিয়ে গিয়েছিলাম লিজেন্ড-এর কাছে। দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বলল তিনি বাসায় নেই। কয়েক বছর পর এক সিনিয়র সাংবাদিকের মুখে শুনলাম লিজেন্ড হাসিমুখে বলেছেন, অপু বিশ্বাস তাঁর সন্তানকে নিয়ে গাড়িভর্তি মিষ্টি নিয়ে এসেছিল আমার কাছে, তাঁর পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু আমি তাঁকে ঢুকতে দিইনি। একেই কি লিজেন্ড বলে?
এ প্রসঙ্গে ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, ‘কষ্ট পেয়েছিলাম আমি। এক সাংবাদিকের কাছ থেকে ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি আমাকে নাড়া দিয়েছে। ওই সময় আমি বিপদগ্রস্ত হয়ে ৭/৮ মাস বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। এক ধরনের চাপা কষ্ট থেকেই আমি স্ট্যাটাসটি দিয়েছি।’ তিন বছর আগের ঘটনা। এত দিন পর সেটি তুললেন কেন? জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘কারণ আমি ২/৩ দিন আগে ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। তিনি আমাকে এত বিস্তারিত বলেছেন যে, স্ট্যাটাসটি না দিয়ে থাকতে পারলাম না।’
অপু বিশ্বাসের স্ট্যাটাস ও তাঁর বক্তব্য শুনে হতবাক শাবানা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমরা জানিই না যে আমার বাসায় সে এসেছিল। চলচ্চিত্রের হিরোইন, আমার বাসায় আসবে, জানলে খুশিই হতাম। তা ছাড়া আসার আগে আমাদের একবার ফোন করে আসলে ভালো হতো। আমার বাসায় তাঁর আসার ব্যাপারটি সত্যিই জানি না। তাঁর কি সমস্যা ছিল, সেটাও জানি না। আর সমস্যা যাই হোক, ফোন করে এলে কোনো সমস্যাই ছিল না।’
শাবানা আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বেশ কবার বাংলাদেশে যাওয়া হয়েছে আমাদের। আমরা গেলে চলচ্চিত্রের কত মানুষ দেখা করতে আমাদের বাসায় আসেন। সবাই ফোন করেই আসেন। কারণ আমরা কখন বাসায় থাকি, না থাকি সেটা নিশ্চিত হয়ে সবাই আসেন। যদিও আমার সঙ্গে তাঁর কোনো সিনেমা করা হয়নি। তারপরও সে চলচ্চিত্রের মানুষ। ফোন করে এলে এ ঘটনাটি ঘটত না।’