সুশান্তের মৃত্যু: পাঁচ ডায়েরি উদ্ধার করলো মুম্বাই পুলিশ
সুশান্ত সিং ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রতিভাবান এ তরুণ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল বিনোদন অঙ্গন। সুশান্তের মৃতদেহ তার অ্যাপার্টমেন্টে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছয় মাস ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন সুশান্ত। ১৫ জুন সকালে সুশান্তের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে নিশ্চিত করা হয়, আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। তবে আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মুম্বাই পুলিশ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে ‘পেশাগত দ্বন্দ্ব’ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্পর্কিত খবর এবার নতুন খবর, সুশান্তের বান্দ্রার বাসভবন থেকে পাঁচটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ-এর বরাত দিয়ে বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবরে বলা হয়েছে, সুশান্তের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পাঁচ ডায়েরি সহায়তা করবে পুলিশকে। সুশান্তের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পুলিশ। রিয়া চক্রবর্তী, মুকেশ চাবড়াসহ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বাই পুলিশ। মুকেশ চাবড়া পুলিশকে বলেছেন, সুশান্তের কোনো পেশাগত দ্বন্দ্ব ছিল কি না, সে সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি আরো জানান, সুশান্ত অন্তর্মুখী ছিলেন এবং কোনো কিছু খুব একটা শেয়ার করতেন না।
মুকেশ বলেন, ‘সে (সুশান্ত খুবই মেধাবী অভিনেতা ছিল, ফোনে কথা বলা পছন্দ করত না। যখন আমরা কল দিতাম, বেশির ভাগ সময় কল কেটে দিত। সে প্লেস্টেশনে গেম খেলতে পছন্দ করত এবং বই পড়তে ভালোবাসত, বিশেষ করে পদার্থবিদ্যা।’ আজ বৃহস্পতিবার নিজ জন্মস্থান বিহারের পাটনায় গঙ্গা নদীতে সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্থি বিসর্জন সম্পন্ন হয়। এ সময় সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং ও বোনেরা মৃতের আত্মার সদগতি কামনা করেন। ১৪ জুন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুশান্ত। একমাত্র ছেলেসন্তান ছিলেন তিনি। তার বড় চার বোন রয়েছে। অভিনেতা তার মাকে হারান ২০০২ সালে।