বরিশালের মিঠুন থেকে যেভাবে বলিউডের সুপারস্টার
বরিশালে জন্ম সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর। এরপর কাঁপালেন টালিগঞ্জ। টলিপাড়া থেকে বলিউডে সফরটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে নানান চড়াই-উতড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এখনো একই ভাবে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন যে মানুষটি, তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতা থেকে মুম্বাই গিয়ে সুপারস্টার হয়ে ওঠার যাত্রা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না। ১৯৫২ সালের ১৬ জুন জন্ম মিঠুন চক্রবর্তীর। তার পারিবারিক নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। বাবা বসন্ত কুমার চক্রবর্তী ও মা শান্তিরানী চক্রবর্তীর সঙ্গে কলকাতায় স্থায়ী হন। ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু করে পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে কেমেস্ট্রি নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন মিঠুন।
এক সময়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার স্পট বয় হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল। তিনি অমিতাভ-রেখার ব্যাগ বয়ে নিয়ে যেতেন। পরে তিনি এই দুই সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রুপালি পর্দায়। মিঠুন চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে পা রাখেন ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেই সিনেমার পরিচালক ছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও জেতেন মিঠুন। তারপরও তাকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছিল। সিনেমায় ছোটোখাটো চরিত্র পেতেন।
১৯৭৮ সালে তার অভিনীত ছবি ‘মেরা রক্ষক’ সুপারহিট হয়। ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর মাধ্যমে তিনি প্রবল খ্যাতি লাভ করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। বলিউডের একের পর ছবিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে যেতে থাকেন। কলকাতায়ও অনেকগুলি ছবিতে অভিনয় করেন মিঠুন। টলিউডের জনপ্রিয় নায়কের মর্যাদা পেয়েছেন। অভিনয় করেছেন তামিল এবং তেলুগু ছবিতেও। তিন বার জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশনেও কাজ করেন মিঠুন।