‘আমরা কারিনার ক্লিভেজ মুগ্ধ হয়ে দেখি আর মমকে দেখে গালি দেই!’

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০, ১২:১৯

বাংলা ট্রিবিউন: কেমন উপভোগ করছেন, চারপাশ থেকে এত ঢেউ! এতটা নিশ্চয়ই আশা করেননি?

শিহাব শাহীন: বলতে দ্বিধা নেই, আশা করিনি। ভাবনার অতীত একটা মর্যাদা পাচ্ছি। আমরা কেউই এভাবে ভাবিনি। উল্টো খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম!

বাংলা ট্রিবিউন: কোনও নির্মাণ বা অভিনয় নিয়ে সতীর্থদের কাছ থেকে এমন প্রশংসার জোয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠেনি আগে। সম্ভবত ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘বড় ছেলে’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর বেলায়ও না।

শিহাব শাহীন: হতে পারে। আমিও তো একজীবনে অনেক কাজ করেছি। এর মধ্যে অনেক কাজই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রশংসাও করেছে মানুষ। কিন্তু সহকর্মীদের কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাইনি কখনও। এজন্যই বেশি আপ্লুত আমি। আমার সহকর্মীরা, যারা কাজটা সত্যিই বোঝেন তারা অকুণ্ঠচিত্তে প্রকাশ্যে যে প্রশংসাটা করছেন তা সত্যিই আবেগ ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তারা চাইলেই ইনবক্সে বা ফোনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে পাবলিক পোস্ট দিয়ে প্রশংসা করছেন সবাই। আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ঘরেও একজন শিল্পী রয়েছেন। দেশের অন্যতম অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তিনি নিশ্চয়ই সবার মতো প্রশংসার জোয়ারে নিজেকে ভাসাননি। করেছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ।

শিহাব শাহীন: অভিনেত্রী হিসেবে তার নিশ্চয়ই কিছু অভিমত রয়েছে। তবে অভিনেত্রী হিসেবে নয়, ও আমাকে স্বামী হিসেবেই মূল্যায়ন করছে। সিরিজটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর থেকে প্রচুর ভালোমন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছে। যত্নটা একটু বেড়ে গেল আর কী! এ সিরিজ আলোচিত না হলে হয়তো এতটা আনন্দ তার মনে বা আমাদের ভেতর কাজ করতো না। কর্মহীন ঘরবন্দি জীবনে এই সাফল্যটা আমাদের জন্য সত্যিই অসাধারণ একটা উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু এমন প্রশ্ন কি সংসারে ওঠেনি বা ওঠার চেষ্টা হয়নি— তুশি চরিত্রে মম নয় কেন? মম নিজেও কি ভাবেননি, চরিত্রটি চাইলেই তিনি করতে পারতেন।

শিহাব শাহীন: না-না। একদমই না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনও প্রেক্ষাপটই তৈরি হয়নি আমাদের ভেতর। কারণ, তুষি চরিত্রটা মমর জন্য নয়। চাইলে তো সেটা সম্ভবই ছিল। কিন্তু নিজের সৃষ্টির প্রতি নির্মোহ থাকলে এবং সত্যিকারের শিল্পী বা ক্রিয়েটর হলে এসব ঘরোয়া বিষয় বড় হয়ে দাঁড়ায় না। বরং আমরা দু’জনেই দিনরাত এই চরিত্রটি চূড়ান্ত হওয়ার আগে গবেষণা করেছি। আমরা চেয়েছি বাস্তবের চরিত্রটির (ঐশী) অবয়ব, উচ্চতা, ওজন আর জীবন-অভিজ্ঞতার দিকে জোর দিতে। ফলে সেখানে মম যায় না। বরং মমই সুপারিশ করেছে তাসনুভা তিশার নাম। ফলে স্ত্রী নয়, এখানে আমি আরও একবার সত্যিকারের শিল্পীর খোঁজ পেয়েছি মমর ভেতর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও