কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা যেভাবে ঠেকাল এশিয়ার ৩ দেশ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০, ১১:৩৮

কয়েক মাস আগেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় একটা অংশে করোনা কঠোর আঘাত এনেছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস যেন দেশটির নববর্ষ উপলক্ষে আরও ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ছড়িয়ে পড়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিল থাইল্যান্ড। কারণ উহান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নানা কাজে থাইল্যান্ড যান। তবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থেকেও অদ্ভুতভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা বেশ সফলভাবেই করেছে থাইল্যান্ড। শুধু তাই নয় মালয়েশিয়া ভিয়েতনামও এই ভাইরাস মোকাবিলায় অন্যতম সফল দেশের তালিকায় নাম উঠিয়েছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানুয়ারির শেষে থাইল্যান্ডের অবস্থান ছিল সংক্রমণের দিক দিয়ে চীনের পরেই। উহান থেকে পাওয়া বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় মানুষ হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ মানুষের ভিড়।


এসব ফুটেজ সারা বিশ্বের মানুষকে শঙ্কিত করেছিল এই জন্য যে, কীভাবে বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দিয়ে তারা এর মোকাবিলা করবে। ভাইরাসটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে বিশেষত ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ভালোই আঘাত হানে। সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মৃত্যু ও বিপর্যয় দুটোই দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ এখনো  প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়ংকর আশঙ্কা এড়ানো গেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালয়েশিয়া ১২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। প্রশংসনীয় হয়েছে ভিয়েতনামের নেওয়া পদক্ষেপ। সেখানে এখন পর্যন্ত একজনেরও মৃত্যু হয়নি।


ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ডেল ফিশার বলেন, এসব দেশের এই সাফল্যের মূল কারণ জনসচেতনতা। মানুষের জন্য পরিষ্কার একটি বার্তার  প্রয়োজন ছিল, তা তারা দিতে পেরেছে। তিনি বলেন, 'কোনো দেশে যদি দুর্বল নেতৃত্ব থাকে, তাহলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কী করবে এবং কাকে বিশ্বাস করবে, এ নিয়ে তারা নিশ্চিত নয়। তাই অবজ্ঞার একটা মনোভাব চলে আসে।' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০২ সালে সার্স মহামারির পর স্বাস্থ্য খাতকে দ্রুত কাজ করার বিষয়ে এশিয়ার অনেক দেশই সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে । তাই এ ধরনের মহামারি ঠেকাতে এবার তারা এমন অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে। কম্বোডিয়ায় ২ হাজার ৯০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি জুড়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে মাঠেও নেমেছে তারা।


কম্বোডিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি (ডব্লিউএইচও) লি আইলান বলেন, তারা দ্রুত শনাক্তকরণ এবং যোগাযোগ কার্যকর করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ড, ১০ লাখের বেশি গ্রাম স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবী সম্প্রদায়গুলোর ওপর সর্বদা নজর রেখেছিল। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই করোনা ঠেকানোর করণীয় নিয়ে আলোচনায় বসেছিল মালয়েশিয়ার সরকার। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগারগুলোতে প্রয়োজনীয় কিটের জন্য দ্রুত ফরমাশ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বড় আকারের প্রকোপ হলে হাসপাতাল পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কোভিড -১৯ পজিটিভ হিসাবে চিহ্নিত হওয়া সব মানুষকেই  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনকি সাধারণ শ্বাসকষ্টের রোগীকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়।  এসব দেশ কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার মতো গণ পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ নেয়নি। ব

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও