ত্রাণচুরিকান্ডে সেই চেয়ারম্যানের পক্ষে পুলিশের প্রতিবেদন, পাবনায় তোলপাড়
পাবনায় ভিজিএফের চালচুরির অভিযোগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে ঘুষের বিনিময়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আমিনপুর থানার ওসি এস এম মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করা চালসহ র্যাব ঐ চেয়ারম্যানকে আটক ও মামলা দায়ের করলেও, অভিযোগ অসত্য দাবী করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ মামলা নিয়ে র্যাব ও পুলিশের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে জেলায় চলছে তোলপাড়। র্যাব ১২ পাবনা সূত্র জানায়, বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কোরবান আলী সরদার ভিজিএফের ২২৯ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে না রেখে রূপপুর ইউনিয়নের বাঁধেরহাটে নিজ ব্যবসায়িক গুদামে মজুদ করছিলেন।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে এমন খবর পেয়ে পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার আমিনুল কবীর তরফদারে নেতৃত্বে র্যাব সেখানে যায় এবং হাতে নাতে এই চালসহ চেয়ারম্যানকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় র্যাব-১২ ডিএডি মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে ঐ রাতেই আমিনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।