প্রিয়জনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জয়া আহসানের
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যায় শোকে মুহ্যমান বিনোদন অঙ্গন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ, সুশান্ত বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি সবাইকে প্রিয়জনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইরফান খান ও ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর হালের জনপ্রিয় তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত চিরবিদায় নিলেন। মুম্বাই পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ৩৪ বছর বয়সী এ অভিনেতা মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে আত্মহত্যা করেছেন। ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বাবাকে নিয়ে তিনি সব সময় গর্ব করতেন। তিনি যা করেছেন, পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন।
ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বাবাকে নিয়ে তিনি সব সময় গর্ব করতেন। তিনি যা করেছেন, পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন। আর এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলতেন না এ অভিনেতা। আজ রোববার (১৪ জুন) আত্মহত্যা করেন সুশান্ত। ছেলের আত্মহত্যার খবর শুনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তিনি এখন ভারতের বিহারের পাটনার বাড়িতে রয়েছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জয়া আহসান লিখেছেন, “প্লিজ এই দুঃসময়ে আপনার প্রিয়জনের পাশে দাঁড়ান, কাউকে একা ফিল করতে দেবেন না। অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যা এটাই হয়তো বলে দিয়ে গেল। একজন শিল্পীর চলে যাওয়া সত্যিই মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। তার চলে যাবার প্রকৃত কারণ হয়তো পরে জানা যাবে কিন্তু মানসিক অবসাদ সত্যিই এই যুগের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা এবং এর সাথে লড়াই করাটাও।
নাম, যশ, খ্যাতি হলেই সেই মানুষটা জীবনে সুখী এই ধারণাটাও সত্যিই ভুল। ২০১৫ সালে WHO প্রকাশিত তথ্যে জানা যাচ্ছে প্রতিবছর প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ ডিপ্রেশনের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তাই কেউ মনের কথা বলতে চাইলে তাকে সময় দিন। কেউ মনোবিদের কাছে গেলে ‘তুই পাগলের ডাক্তার দেখাস’ এই ধরনের কথা বলে তার মনোবল ভেঙে দেবেন না বরং তাকে উৎসাহিত করুন। আমরা প্রত্যেকেই হয়তো এক একটা সমস্যায় থাকি। ঘটনাক্রমে সেগুলো হয়তো না চাইতেও ঘটে যায়। সেগুলোই নিজের মধ্যেই হয়তো চেপে রাখি ভাবি এর থেকে বেরোনোর হয়তো আর কোনো সমাধান নেই। এগুলোই আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দেয়। এগুলো বরং আমরা কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারি। অন্তত কিছুটা হালকা হওয়াই যায়। লড়াই করার রসদ খুঁজে পাওয়া যায়। কারোর মন খারাপ হয়েছে শুনলে প্লিজ তাকে একা ছেড়ে দেবেন না। যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করুন।