উপকূলে বাঁধের জন্য জরুরি বরাদ্দের দাবি নাগরিক সমাজের
ঢাকা: স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাজেটে জরুরি বরাদ্দ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজ।তারা বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বছরে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে শুধু বাঁধের নকশা, নির্মাণের মনিটরিং ও অন্য কারিগরি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শও দেন তারা।
শনিবার (১৩ জুন) কোস্ট ট্রাস্ট ও সিএসআরএলের (ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড) যৌথভাবে ‘জাতীয় বাজেট ২০২০-২১: বেড়িবাঁধ ও উপকূলের মানুষের সুরক্ষা’ শীর্ষক বাজেট পরবর্তী অনলাইন সেমিনারে এসব দাবি ও পরামর্শ দেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু বাঁধের নকশা, নির্মাণের মনিটরিং ও অন্য কারিগরি সহায়তা দেবে। কুতুবদিয়া ও কয়রার মতো অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে অনতিবিলম্বে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
তারা বলেন, বিচ্ছিন্ন চরগুলো, যেখানে দরিদ্র মানুষের বসবাস বেশি, সেখানে ভবিষ্যতে বাঁধ নির্মাণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। বাংলাদেশের উপকূলকে জলবায়ু সহনশীল করতে বেড়িবাঁধ কেন্দ্রিক আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা, যথাযথ নাব্যতা বজায় রাখা, বাঁধের উভয় পাশে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাঁধ সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিতে হবে।
সেমিনারে মূল বক্তব্যে কোস্ট ট্রাস্টের আরিফ দেওয়ান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের পরও আমরা দেখলাম, এই বাজেটে বেড়িবাঁধে বাজেট বরাদ্দ বাড়েনি। যা উপকূলে মানুষের প্রাণ ও তাদের ফসল রক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র পীড়িত অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে পারতো। এরফলে উপকূলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
খুলনার সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, সাইক্লোন আইলার পর থেকেই খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ নকশা অবলম্বন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় পুরো অঞ্চল এখন অরক্ষিত। এসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সাইক্লোন আম্পানের পূর্বে প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় আমরা প্রাণহানি এড়াতে পেরেছি। কিন্তু এসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও তার স্থায়িত্বশীল সংরক্ষণের জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।