হালদায় ১১ কেজির কাতলা ধরায় জরিমানা ১২ হাজার
‘চট্টগ্রামের হালদায় কয়েক সপ্তাহ ধরে তেমন জাল দেখা না যাওয়ায় সন্দেহ হচ্ছিল। তবে শুক্রবার রাতেই এলো খবরটা। চোরেরা এখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে রাতে।’ দেশে কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মা মাছ শিকার নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিম ছাড়ার পর মা মাছের খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে একটি চক্র।’
আজ শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম খানের বাড়ির টেক এলাকা থেকে অবৈধভাবে শিকার করা ১১ কেজি ওজনের একটি মা মাছ জব্দ করেন ইউএনও রুহুল আমিন। এ সময় মা মাছ শিকারের দায়ে এলাকায় মোহাম্মদ ইউনুচ সোহেলকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মাছটি হালদা রিসার্চ ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘রাতে হালদায় বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের খবর পেয়ে সকালেই বের হয়ে পড়লাম। সঙ্গে ছিলেন ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু। ছিপাতলী ইউনিয়নের হালদা নদীর মোয়াজ্জেম খান বাড়িটেক এলাকায় মোহাম্মদ ইউনুচ সোহেল তাঁর দলবলসহ হালদার পাড়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন। আমাদের দেখে তারা বড়শি ফেলে পালিয়ে যায়।’