বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন: একটি সুপরিকল্পিত 'শূন্যতা'
‘আমি নিজেকে, অন্ধকারের দিকে চেয়ে, আত্ম-অহংকারে তাড়িত ও উপহাস্য একটা জীব হিসেবে দেখতে পেলাম এবং আমার চোখ দুটো ক্ষোভে আর যন্ত্রণায় পরিপূর্ণ’। ‘আরাবি’- জেমস জয়েস।
এই এপিগ্রাফটি জেমস জয়েস-এর ছোটগল্প 'আরাবি'-র সর্বশেষ বাক্য। এই গল্পের নামহীন বক্তা (যে কিনা পুরো গল্প জুড়েই তার এই রাগভাবাপন্ন বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায় ছিলো) আরাবী বাজারে যাওয়া নিয়ে খুব রোমাঞ্চিত আর উচ্ছ্বাসিত ছিলো। কিন্তু বাজারের স্থানিক অবস্থা বোঝার পর সে সব আগ্রহ হারিয়ে রাগান্বিত হয়ে গেলো।
একইভাবে, যেদিন আমি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবনে গিয়েছিলাম, আমিও সমানভাবে উচ্ছ্বাসিত এবং শিহরিত ছিলাম এই নিয়ে যে আমি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি, যিনি ব্রিটিশ শাসনামলে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম নারী শহীদ; কিন্তু ১৮-ই ডিসেম্বর, ২০১৯, যখন আমি আর আমার বন্ধু মিজানুর রহমান বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন নামের ছয় তলা বিল্ডিং ঘোরা শেষ করেছিলাম, আমার সব আকাঙ্ক্ষা উড়ে গিয়েছিল।
বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান পঙ্কজ চক্রবর্তী-র মতে, ভবনটি সম্পন্ন হতে মোট খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ভবনটিতে ১২-টি কক্ষ, মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে ৩০-টি সেলাই মেশিন, শিক্ষানবিশ আর ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য ৫০-টি কম্পিউটার, কিছু বাদ্যযন্ত্রে ভরা লাইব্রেরী নামক একটি শূন্য কক্ষ এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-এর একটা সুন্দর ভাস্কর্য রয়েছে। প্রীতিলতা তাঁর নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন এই লক্ষ্যে নিয়ে যে, "নারীরা কখনো নিজেদের দুর্বল ভাববে না। কারণ তারা পিছনে থাকার জন্য নিরূপিত নয়, বরং পুরুষের সাথে সক্রিয়ভাবে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য।"
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.