অনলাইন ক্লাসে কতটুকু উপকৃত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ফাইজা শামস সামান্থা ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। মে মাসের শুরু থেকেই তাদের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। কখনো ফেসবুক লাইভ কিংবা জুম ব্যবহার করে শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাসে অংশ নিতে মায়ের মোবাইল ব্যবহার করে ফাইজা। তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফেরদৌসি রেজা চৌধুরী জানান, বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অনলাইনে প্রতিদিন এভাবেই ক্লাস করতে হচ্ছে তার মেয়েকে।ঢাকায় সরকারি বেসরকারি বিশেষ করে সুপরিচিত স্কুলগুলোতে গত এক মাস ধরেই এমন চর্চা চলছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকার গত মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর এপ্রিল পর্যন্ত ঈদসহ নানা ছুটির কারণে মে মাস থেকেই অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কাজ শুরু করে অনেক স্কুল। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, যশোর, রাজশাহী ও সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে এ ধরণের অনলাইন শিক্ষাদান কর্মসূচি চালু করেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের চেয়ে বেসরকারি স্কুলগুলো বিশেষ করে ইংরেজি মিডিয়াম বা উভয় মাধ্যমের পরিচিত স্কুলগুলো ফেসবুক বা জুম ব্যবহার করে অনলাইন পাঠদান শুরু করে গত মাসের শুরু থেকেই।
তবে শহরাঞ্চলে ঠিক কত স্কুল অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছে আর কতগুলোতে চালু করা যায়নি তার কোনো হিসেব নেই। আবার সরকারি স্কুলগুলোতে অনলাইনের চেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে সংসদ টিভির মাধ্যমে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান প্রক্রিয়াকে।শহরগুলোর বাইরের শিক্ষাদান পরিস্থিত দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের টি ব্যারেট স্কুলের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার স্নিগ্ধা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তারা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলকেই বেশি ব্যবহার করছেন।
সরকারি পোর্টাল শিক্ষক বাতায়নের মাধ্যমে তাদের আগে থেকে রেকর্ড করা কনটেন্ট ইউটিউবে দেয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদেরও জানিয়ে দেয়া হয়।‘আমরা অনেকে আমাদের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলেও কনটেন্টগুলো দেই যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে পেতে পারে। অনেকেই সেগুলো দেখে ও সে অনুযায়ী পড়াশোনা করছে এই বন্ধ সময়টাতে।’