বোলারদের ‘রোবট’ বানানোর আগে ভ্যাসেলিন ব্যবহারের পরামর্শ
টেস্ট ক্রিকেটে তার শিকার ৪১৪ উইকেট, ওয়ানডেতে ৫০২। এর মধ্যে কতগুলো বলে থুতু মাখিয়ে সুইং করিয়ে বা রিভার্স সুইং করিয়ে পেয়েছেন, সেটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় ওয়াসিম আকরামের পক্ষে। তবে ‘সুইংয়ের সুলতানে’র যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল সেটি অবশেষে পাওয়া গেল।
করোনাভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে সেই ভীতি থেকে আইসিসি বোলারদের জন্য বলে থুতু লাগানোটা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। ব্যবহার করা যাবে শুধু ঘাম। কিন্তু পেস বোলাররা বলটা সামান্য পুরোনো হয়ে গেলে সুইং পাওয়ার জন্য বলে থুতু ব্যবহার করতে পারবে না, এটা মেনে নিতে পারছেন না ওয়াসিম আকরাম। সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার মনে করছেন, এতে পেসাররা হয়ে পড়বে ‘রোবট’- যন্ত্রমানব।বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওয়াসিম আকরাম বুধবার বলেছেন, ‘এটা (বলে থুতু ব্যবহার করতে না দেওয়া) বোলারদের রোবট বানিয়ে দেবে-এসো, বল করো সুইং ছাড়াই। এটা আমার কাছে ধাঁধার মতো একটা প্রশ্ন, কারণ আমি বলে থুতু ব্যবহার করেই এরকম সুইং বোলার হিসেবে গড়ে উঠেছি।’কঠিন এই সময়ে সতর্কতার অংশ হিসেবেই এটি করা হয়েছে সেটি মানছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। আবার এও জানেন, ঘাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে শীতপ্রধান কয়েকটি দেশে সুইং পেতে ঘামও যে কাজে লাগানো যাবে না মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও। থুতু ব্যবহার করা না গেলে আকরাম পরামর্শ দিয়েছেন কিছু কৃত্রিম বস্তু যেমন ভ্যাসেলিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার। সেটা কী পরিমানে ব্যবহার করা উচিত সেই পরীক্ষাটা আগামী ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমি বিশ্বাস করি সমস্যার একটা সমাধান তারা (আইসিসি) খুঁজে পাবে। বলে সুইং পেতে ভ্যাসেলিনের মতো কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু সেটি কী পরিমানে? এই ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই সেটি দেখা যাক না। কারণ এমন অভিজ্ঞতা তো কখনও আমার হয়নি।’ এর আগে থুতুর পরিবর্তে মোমের প্রলেপ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল বল প্রস্তুতকারক অস্ট্রেলীয় কোম্পানি কুকাবুরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.