সরকারি সহায়তায় ভুয়া নাম শনাক্ত করায় শিক্ষককে কুপিয়ে আহত
পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কেএম রইচ উদ্দিন রবির উপর অতর্কিত হামলা করেছে ইউপি চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী। সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রের জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকার সাহায্যের তালিকা যাচাই করে ভুয়া নাম শনাক্ত করায় তার উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের।
মঙ্গলবার রাতে রামেশ্বরপুর পূর্বপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।সরাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আহত রইচ উদ্দিন বলেন, মাজপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রের জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকার সাহায্যের তালিকা যাচাই করার দায়িত্ব পরে আমার উপর। আমি যাচাই বাছাই শেষে দেখি বেশিরভাগ আইডি কার্ড ও মোবাইল নম্বর ভুয়া এবং রাঘবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে শামসুল ইসলাম বিশ্বাস পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন, তার নামও তালিকায় আছে। সব বিষয় তুলে ধরে আমি সঠিক রিপোট পেশ করি। রিপোটটি তাদের বিরুদ্ধে গেলে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। গত কয়েকদিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে সুপরিকল্পিতভাবে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়।
এই শিক্ষক বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমি রামেশ্বরপুর বাজার থেকে মোটর সাইকেলযোগে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী গতিরোধ করে লাঠিশোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট ও কোপাতে থাকে। এ সময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের এলাকায় নিজস্ব বাহিনী খ্যাত সন্ত্রাসীরা ইউপি সদস্য জাবেদ আলী ও আজগর আলীর নেতৃত্বে টিটু, আশরাফ হোসেন, উজ্জল মিয়া, রঞ্জু, আব্দুর রশিদ, সামাদ আলী, দুলাল হোসেন, ইকবাল, ফরিদ আলী, জুয়েল হোসেন, তুহিন বিশ্বাস ছিল হামলাকারী।