কোটি টাকার সম্পত্তিই কাল হলো মোখলেছুর রহমানের

কালের কণ্ঠ পাটুপাড়া. দিনাজপুর প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০, ২০:১০

দিনাজপুরের সদর উপজেলায় সম্পত্তি ও বাজারের মার্কেট সন্তানের নামে লিখে না দেওয়ায় মোখলেছুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে একমাস ঘরে আটকে রেখে হাতের নখ তুলে নিয়েছে আপন দুই ছেলে, ভাই ও ভাতিজারা। বুধবার (১০ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় নির্যাতন করে ঘরে বন্দি রাখা মোখলেছুর রহমানকে প্রতিবেশী কয়েক যুবক উদ্ধার করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নির্যাতনের শিকার মো. মোখলেছুর রহমান জেলার সদর উপজেলার ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় দুই সন্তান নাহিদ হাসান ও জাহিদ হাসান তাদের দুই চাচার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মো. মোখলেছুর রহমানকে এই অমানবিক নির্যাতন করে।

মো. মোখলেছুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রতিবেশী কয়েক যুবক কোতেয়ালি থানায় নিয়ে আসে। তখন তার পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ সময় মো. মোখলেছ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, স্থানীয় রানীপুর বাজারে আমার একটি মার্কেট ও প্রায় আড়াই একর জমি আছে। যার মূল কোটি টাকা। আমার ছেলে নাহিদ ও জাহিদ এবং আমার বড় ভাই মমিনুল ইসলাম, মেজ ভাই মাহবুব ও তার ছেলে মাহফুজুর রহমান এক হয়ে আমার বাজারের মার্কেট ও আড়াই একর জমি তাদের নামে লিখে দিতে বহুদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিল। এতে আমি রাজি হইনি।

তিনি আরো বলেন, আমি মার্কেট ও জমি আমার সন্তানদের নামে লিখে না দেওয়ায় তারা আমাকে একমাস ধরে ঘরে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। হাত পায়ের আঙুলের নখ প্লাস দিয়ে টেনে তুলে নিয়েছে। আমার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে পা কেটে ফেলেছে। প্রায় লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করা হতো। আমি আমার সম্পত্তি তাদের নামে লিখে না দেওয়ার কারণে আমাকে তারা গলায় দড়ি দিয়েও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমাকে প্রায় বিষ এনে খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে আমার দুই সন্তান।

নির্যাতিত মোখলেছুর রহমান আরো বলেন, আমার দুই ছেলে তার বড় চাচা মমিুনল ইসলাম ও মেজ চাচা মাহবুব এবং সেনাবাহিনীতে চাকরি করে আমার ভাতিজা মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজগুলো করছে। আমার ভাই এবং ভাতিজারাও আমাকে প্রচণ্ডভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার পক্ষে পাড়া-প্রতিবেশীরা কেউ কথা বলতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করার চেষ্টা করে তারা। ভাগ্যক্রমে আজকে আমার পাড়ার এক ভাতিজাসহ কয়েকজন মিলে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমি প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছি, আমি নির্যাতনের বিচার চাই। আমার সন্তান ও ভাই-ভাতিজার বিচার দাবি করি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও