যুক্তরাষ্ট্রের অভিধানে বদলে যাচ্ছে বর্ণবাদের সংজ্ঞা
বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের চলমান প্রেক্ষাপটে কৃষ্ণাঙ্গ এক তরুণীর আবেদনে আমেরিকান রেফারেন্স অভিধান মেরিয়াম-ওয়েবস্টারে ‘রেসিজম’ তথা বর্ণবাদ শব্দটির সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
গায়ের রঙের কারণে যেসব মানুষ অত্যাচারিত সংজ্ঞায় সেটা আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার আবেদনটি করেছেন সম্প্রতি আইওয়া ড্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা তরুণী কেনেডি মিটচুম।মেরিয়াম-ওয়েবস্টার সেই ১৮৪৭ সাল থেকে নানা ধরনের অভিধান প্রকাশ করে আসছে। তাদের অভিধানে বর্ণবাদ নিয়ে যে সংজ্ঞা আছে তা আরও পরিষ্কার হওয়া উচিত বলে মনে করেন মিটচুম।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে তিনি বলেন, “আমি মূলত তাদের এটা বলেছি যে, জনগণের একটি গোত্রের ওপর পদ্ধতিগত যে নিপীড়ন হচ্ছে, সংজ্ঞায় সেটুকু অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া দরকার। "
মিটচুমের মতে, বর্ণবৈষম্য ব্যাপারটি ‘ওহ, আমি কাউকে পছন্দ করি না’ এমন হালকা নয়।
মিটচুমের আবেদনের ব্যাপারটি বার্তা সংস্থা এএফপিকেও নিশ্চিত করেছেন মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের সম্পাদকীয় ম্যানেজার পিটার সোকোলোস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাদের অভিধানে বর্ণবাদের তিনটি সংজ্ঞা আছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় সংজ্ঞাটি নিয়ে মিটচুমকে স্পর্শ করে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সোকোলোস্কি জানালেন, তাই হলে “আমাদের পরবর্তী সংস্করণে আরও পরিষ্কার করব। ”
বর্ণবাদ নিয়ে অভিধানটির দ্বিতীয় সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বর্ণবাদ একটা মতবাদ বা রাজনৈতিক কার্যক্রম যা বর্ণ বৈষম্যের একটা ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত” এবং “বর্ণ বৈষম্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একটা রাজনৈতিক বা সামাজিক কাঠামো। ”