কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

টাক থাকলেই কি করোনার ভয় বেশি?

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০, ১৪:১৫

উহানে প্রথম যখন শুরু হয়, তখন থেকেই বিজ্ঞানীরা খেয়াল করেছিলেন মেয়েদের তুলনায় পুরুষরা বেশ কয়েক কদম এগিয়ে আছেন করোনার সংক্রমণে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি।

যদিও এই রাজ্যের কিছু চিকিৎসকের মতে, এই রোগে মেয়েদের মৃত্যুহার অবহেলাজনিত কারণে বেশি। তবে বিশ্বের সার্বিক হার খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে এই রোগে সংক্রমণের হার বেশি পুরুষদের।আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর কার্লোস ওয়াম্বিয়ের ও তার সহযোগীরা আবার এর নেপথ্য কারণ খুঁজতে গিয়ে এক অদ্ভুত বিষয়কে সন্দেহ করতে শুরু করেন। গবেষণায় তারা প্রামাণ পেয়েছেন, যে সব পুরুষের টাক আছে (অ্যালোপেশিয়া অ্যান্ড্রোজেনেটিকা) তাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ গুরুতর অবস্থায় পৌছনোর ঝুঁকি অনেক বেশি।

কার্লোস এক সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, আমেরিকার চিকিৎসক ফ্র্যাঙ্ক গ্যাবরিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর (কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু) টাকের সঙ্গে কোভিড-১৯’র সম্পর্ক নিয়ে সমীক্ষা শুরু করার কথা ভাবি আমি ও আমার সহযোগীরা। তারপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মৃত্যুর পরিসংখ্যান যাচাই করে দেখা গিয়েছে। টাক থাকলে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ ও তা তীব্র আকার ধারণ করার ঝুঁকি অনেক বেশি।

প্রথম প্রথম পুরুষদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, যে হেতু ও দেশে পুরুষরা বেশি ধুমপান করেন তাই তাদের শ্বাসনালী ও ফুসফুস কিছুটা দুর্বল থাকায় করোনা বেশি হচ্ছে। ইংল্যান্ডেও কোভিড-১৯’র প্রকোপ শুরুর পর ও দেশের পাবলিক হেল্থ সংস্থা সমীক্ষা করে দেখেন যে, ও দেশের কর্মরত পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শুরু হয় আরও জোরদার সমীক্ষা।

তখনই দেখা যায়, যে সব পুরুষের টাক আছে তারা বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সমীক্ষার পর জনস্বাস্থ্য ও জীবাণুবিজ্ঞানীরা জানান, নারী ও পুরুষদের জীবনযাত্রা, ধূমপানের অভ্যাস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভিন্নতার কারণ ছাড়াও পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। টেস্টোস্টেরন আবার পুরুষালী টাক সৃষ্টির জন্যে দায়ী। এই হরমোন একই সঙ্গে করোনার উপযোগী পরিবেশও তৈরি করে। তাই ছেলেদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন আবার কোষে কোষে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।

স্পেনে যখন প্রচুর পরমাণে কোভিড-১৯ আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন, তখন ওয়াম্বিয়ের ও তার সহযোগী গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে তাদের অধিকাংশেরই পুরুষালী টাক আছে।

‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা যায়, মাদ্রিদ হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের ৭৯ শতাংশের টাক আছে এবং স্পেনের হাসপাতালে ভর্তি ৭১ শতাংশের মাথায় চুলের পরিমাণ যৎসামান্য।

আলিপুরদুয়ারের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী জানালেন যে ‘পুরুষদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণে শুরুতে ধুমপানকে দায়ী করা হলেও পরে যখন দেখা গেল, ইউরোপেও পুরুষদের মৃত্যু হার বেশি তখনই সকলে এই নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু করলেন। কেননা, চিনে পুরুষরা বেশি ধুমপান করলেও ইউরোপে ধুমাপায়ীদের সংখ্যা নারী-পুরুষ নিরিখে প্রায় সমান। তখনই শুরু হল নতুন সমীক্ষা।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও