টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনার পরামর্শ শচীনের
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্রিকেট শুরু হওয়ার আগে একটা বড় বিতর্ক উঠেছে বল পালিশ করা নিয়ে। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি ইতিমধ্যে থুতু দিয়ে বল পালিশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে থুতুর বিকল্প হিসেবে ঘাম ব্যবহারের কথা বলেছে কমিটি। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে বেশ কয়েকটি উপায়ের কথা বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার এবং ব্রেট লি।
গতকাল মঙ্গলবার শচীনের নিজস্ব অ্যাপ ‘১০০ এমবি’-তে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার লি বলেছেন, ‘‘আমরা আট-ন’ বছর বয়স থেকে বল থুতু দিয়ে পালিশ করতে অভ্যস্ত। আমাদের সে রকম করতেই বলা হয়েছিল। এখন দুম করে এই অভ্যাসটা বোলারদের পক্ষে বদলানো কঠিন।’’ একইসঙ্গে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির কাছে তার আবেদন, কেউ বলে একবার থুতু লাগালে যেন তাঁকে শাস্তি না দেওয়া হয়।
লি'র সঙ্গে আলাপচারিতায় মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, ‘‘ঠান্ডার দেশে তো ঘাম হয় না। সেখানে কী হবে?' এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সহমত জানিয়ে ব্রেট লিও বলেন, 'ঠান্ডার দেশে এই নিয়মে বোলারদের কোনও লাভই হবে না।'
আলাপচারিতায় নিজের কাউন্টি জীবনের প্রসঙ্গ টেনে শচীন বলেছেন, '১৯৯২ সালে ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলতাম আমি। মে মাসের শুরুর দিকে ওখানে গিয়েছিলাম। সব কিছু ঠান্ডায় জমে যাচ্ছিল। হোভে একটা ম্যাচের কথা ভুলব না। পাঁচটা সোয়েটার পড়েছিলাম।' এমন পরিস্থিতিতে বোলাররা সমস্যায় পড়লে কী করেত হবে তারও উপায়ের কথা বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। এ সমস্যার সমাধান আইসিসিকে শচীনের পরামর্শ, ‘‘একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের ওজনের মোম প্রতি ইনিংসে ফিল্ডিং দলকে দেওয়া হোক বল পালিশ করার জন্য। দ্বিতীয়ত, টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা। সে ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি সময় নতুন বলের সাহায্য পাবেন পেসাররা। এখন ৮০ ওভারের পরে নতুন বল আনা যায়।
তবে লি মনে করেন, যদি সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হয়, তা হলে নিয়ম বদলের দরকার হবে কেন?