পচে যাচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ, লোকসানে ব্যবসায়ীরা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে। কিন্তু রেলপথে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশি সময় লাগায় এবং গরমে পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এই অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
সোমবার (৮ জুন) ও মঙ্গলবার (৯ জুন) হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের পেঁয়াজ—যেগুলো ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা, কিন্তু পচে যাওয়ায় তা বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা কেজি দরে।হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক এরশাদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত ও বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি- রফতানি বন্ধ ছিল। এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। সম্প্রতি ভারত সরকার রেলপথে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ পথে গত ২৮ মে, ১ জুন ও ৬ জুন তিন দফায় ৪ হাজার ৮শ' টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে এবং সময় বেশি লাগায় অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও রেলপথে আমদানি করার ফলে একবারে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে বাজারে যোগান বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা কমে যাচ্ছে। এতে করে দাম কমে যাচ্ছে, আর লোকসানে পড়ছি আমরা।'