মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে গত আট বছরে ৬ হাজার ১৩৪টি মামলা দায়ের হলেও নিস্পত্তি হয়েছে মাত্র ২৩৩টি। দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৫ হাজার ৯০১টি মামলা। আদালতে সময়মতো আসামি ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় অগনিত মামলা শুনানি করা যাচ্ছে না। ফলে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম ঝুলে আছে।
জানা গেছে, দেশে মানব পাচারের বড় এলাকা কক্সবাজার। সেখানে এ পর্যন্ত মানব পাচারের ৬৪২টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটিও বিচার শেষ হয়নি।
এ ছাড়া গত কয়েক বছরে মানব পাচার অভিযোগের আট হাজার আসামি থাকলেও দুর্বল তদন্ত ও আদালতে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় অধিকাংশ অপরাধীদের শাস্তি হয়নি। আইনে জামিন অযোগ্য হলেও উচ্চ আদালত থেকে অধিকাংশই জামিন পেয়ে যাচ্ছে। ফলে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা শহরের মরুভুমিতে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মারাত্মক আহত হন আরও ১১ জন। এ ঘটনায় গত ২ জুন হাজি কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের দাবি হাজী কামাল মানবপাচারের মূলহোতা। রাজধানীর তেজগাঁও ও পল্টন থানায় করা পৃথক মামলায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুধু এ ঘটনায় নয়, বিদেশে ভাগ্য বদলাতে গিয়ে পাচারকারীদের হাতে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন অগনিত মানুষ। পাচারকারিদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা। এসব ঘটনায় বিচার চেয়ে নিহতের পরিবার বিভিন্ন সময় মামলা করলেও সুবিচার পাচ্ছেন না। অবিলম্বে পাচারকারিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তি দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
এদিকে, মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে বিচারের জন্য আলাদা করে বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকলেও ৮ বছর পর চলতি বছর ৯ মার্চ সাত বিভাগে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের আদেশ হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকরা এখনও আলাদা ট্রাই্যুনালে কাজ শুরু করতে পারেননি। জানাগেছে, নারী ও শিশু আদালতে থাকা বিচারাধীন মামলাগুলো মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ফলে এসব মামলার বিচার এখনো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই চলছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.