লকডাউনের সময় যেসব বিষয়ে সমাধান চান পূর্ব রাজাবাজারবাসী
করোনাভাইরাসের ঘনত্ব বিবেচনায় মঙ্গলবার (৯) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করার ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচলসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ থাকবে। তবে লকডাউনে দোকান ও বাসা ভাড়া নিয়ে বেকায়দায় থাকা নাগরিকরা বিষয়টি সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আর কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে যাতে কাউকে বেতন ও চাকরি হারাতে না হয় তারও নিশ্চয়তা চেয়েছেন তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান জানিয়েছেন, লকডাউন গাইড লাইন অনুযায়ী, যে এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হবে ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবে না এবং কেউ প্রবেশও করতে পারবে না। সাধারণ যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সবকিছু হবে নিয়ন্ত্রিত। আর অসহায় এবং দরিদ্রদের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। মানুষ চাইলে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবে।
লকডাউনে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় থাকা পূর্ব রাজাবাজার মসজিদ গলির বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ‘আমি গুলিস্তানের একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করি। আমার বাসা এখানে। লকডাউনের কারণে আমি অফিসে যেতে পারবো না। এভাবে অফিস মিস হলে আমাকে কি কোম্পানি রাখবে? বেতন দেবে? আমি লকডাউনে, কিন্তু আমার কর্মস্থল খোলা এটা কীভাবে হয়? এটার তো সমাধান হওয়া উচিত। এ নিয়ে এখন চিন্তায় আছি। কী করবো জানি না। বুঝতে পারছি না।’
খোকন মিয়া নামে স্থানীয় এক দোকানি বলেন, ‘মাসে ২০ হাজার টাকা করে দোকান ভাড়া দিয়ে থাকি। তিন লাখ টাকা অ্যাডভান্স রয়েছে। এখন দোকান বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু ভাড়া তো বন্ধ থাকবে না। বাসা ভাড়াও দিতে হবে। আমার যদি আয় না থাকে তাহলে দোকান এবং বাসা ভাড়া কীভাবে দেবো? সরকার বা সিটি করপোরেশনকে এটার সুরাহা করতে হবে।’
সানজিদা আক্তার নামে এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘আমি সরকারি অফিসে চাকরি করি। হয়তো আমার অফিস সেটা মানবে। কিন্তু যে মানুষটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন, তিনি তো চাকরি হারাবেন। কারণ প্রতিষ্ঠান তাকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন-ভাতা দিতে চাইবে না। আর যারা দিন এনে দিন খায় বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে সংসার চালান তাদের অবস্থা কী হবে? কয়দিন সিটি করপোরেশন ত্রাণ সামগ্রী দেবে। এই ত্রাণ নিয়ে কী হয়েছে সেটা কিন্তু অতীতে সবাই দেখেছে। মানুষ ত্রাণের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। এবার যাতে সেটা না হয় সেদিকে অবশ্যই সরকারকে নজর রাখতে হবে।’