ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে ঘরে তৈরি রুটি, কেক–পেস্ট্রির সঙ্গে নিজের হাসিমুখের ছবি। করোনার এই সময়ে অনেকেই বেকিং করছেন বাড়িতে। গবেষণাতেও এসেছে বেকিং আনন্দ দেয়, মনের শক্তি জোগায়। আর বেকিংয়ের পদগুলো পছন্দ করে ছোটবড় সবাই। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করা যাক। সাত বছর আগের কথা। অফিস থেকে বের হলাম সূর্য ডোবার পর। চাপা উত্তেজনা চেহারায়। গন্তব্য ঢাকার গুলশান ১ নম্বর বাজার। উদ্দেশ্য খুবই ছোট। বেকিং শুরু করব, দরকারি যন্ত্রপাতির খোঁজেই হানা দিলাম বিভিন্ন দোকানে।
সেই সন্ধ্যায় মিয়াকোর ইলেকট্রনিক হ্যান্ড ব্লেন্ডিং মেশিনটি উপহার হিসেবে কিনে দিয়েছিল আমার বান্ধবী। এতদিন পরে যখনই বেকিং করার প্রস্তুতি নেই, প্রথম দিনের মতোই অনুভব করি সেই উত্তেজনা আর ভালোলাগা। কখনো পরিবারের জন্য, কখনো নিজের জন্য সময়ে–অসময়ে চলে যাই ওভেনের সামনে, শুরু হয়ে যায় নতুন কিছু করা। প্রয়োজন থেকেই অনেকে বাড়িতে এখন তৈরি করছেন রুটি, কেক। রান্নাও করছেন স্বাস্থ্যকর খাবার। পরিবারের ছোটবড় সব সদস্যের নিয়ে একসঙ্গে কিছু ক্ষণ কাটানোর জন্যও ভালো বাহানা হতে পারে বেকিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে বৈদ্যুতিক, গ্যাস বা মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে বের করা বাড়িতে তৈরি কেকের ধোঁয়া ওঠা ছবি। হটকেক বাড়িতেই। মডেল সোনিয়া ইয়াসমিন ইশার কথাই ধরা যাক। িতনি রান্না করেন অনেক আগে থেকেই। তবে এই সময় বাড়িতে থাকার কারণেই রান্নার ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরছেন। চুলায় রান্না করা বেশি পছন্দ তাঁর। গরুর মাংস, শর্ষে ইলিশ, বেলে মাছের পাতুরি, পাস্তা, লাজানিয়া ইত্যাদি রাঁধতে ভালো লাগে। মাথায় ঢুকলে হুট করেই শুরু করে দেন রান্না করা। একবার সারা রাত বেকিং করে ক্ষান্ত দিয়েছিলেন ভোর পাঁচটায়।
ইশার মা খুব ভালো রান্না করতেন। এখন অসুস্থ থাকায় তেমন আর রান্না করতে পারেন না। মাকে দেখে, কিছুটা ইউটিউব থেকে, আবার কিছুটা বোনদের থেকেও রান্না নামক কাজটি রপ্ত করে নিয়েছেন পুরোপুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর রান্না করা পদ দেখলেই বোঝা যায় তিনি এ বিষয়ে বেশ দক্ষ। বেকিং বা রুটি–কেক তৈরি মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু একটা তৈরি করার আনন্দই সেখানে মুখ্য। ময়দার তাল দলার সময় দুশ্চিন্তগুলোকেও যেন মুক্ত করে দেওয়া যায়। অন্যদের থেকে পাওয়া প্রশংসা বাড়িয়ে দেয় আত্মবিশ্বাস। অনেকের কাছে এটি ধ্যান বা মেডিটেশনের মতোও কাজ করে। ডিম ফেটানো, মাখন ও চিনি মেলানোর মতো সাধারণ কাজগুলোই মনের মধ্যে কিছুটা জায়গা নিয়ে নেয়, দূর করে নেতিবাচক ভাবনা। পঞ্চেন্দ্রিয়কে প্রসন্ন করার পাশাপাশি অন্যদের মধ্যেও আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারা যায় বেকিং করে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি করোনাকালে বেকিং করার হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। একই ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছে আরও বেশ কিছু গণমাধ্যমেও। যাঁরা সাধারনত বেকিং করতেন না, তাঁরাও এখন হাত পাকাচ্ছেন। আর যাঁরা পছন্দ করেন, কোনো ধরনের বাহানার দরকারই হচ্ছে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.